দূরযাত্রা রিপোর্ট ॥ বিএনপির ডাকা হরতালে ঝালকাঠিতে কোন প্রভাব পরেনি। সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। দূরপাল্লা ছাড়া ঝালকাঠি থেকে সকল রুটের বাস চলাচল করেছে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন তৎপরতা চোখে পরেনি। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান ছিল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে। অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ছিল।
হরতালের সমর্থনে মিছিল করায় ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সিসি ক্যামেরা, একাধিক মোটরসাইকেল ও জানালার গ্লাস ভাঙচুর হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের মহিলা কলেজ সড়কে তাঁর বাসবনের নিচতলার চেম্বারটি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপির তিন নেতাকর্মীসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৮ জনকে আটক করেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন অভিযোগ করেন, সকালে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণ পরেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া দেয়। আমরা আইনজীবী সমিতিতে আশ্রয় নিলে তারা সেখানেও আমাদের ধেয়ে আসে। এক পর্যায়ে আমারা আদালত ভবনের ভিতরে যাই। এরপর তাঁরা সদস্য সচিবের বাস ভবনে গিয়ে চেম্বার ভাঙচুর করে। চেম্বারের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেল সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় চেম্বারের ভেতর থেকে সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, বিএনপির মিডিয়াসেল কর্মী আরিফ হোসেন ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী মো. তুষারকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কারা ভাঙচুর করেছে, তা আমরা জানি না। এদিকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ১৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
ঝালকাঠি থানা পুলিশ জানায়, ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে টায়ার জালানোসহ বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।