রিয়াজুল ইসলাম, ঝালকাঠি ॥ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ১ দফা দাবীতে ৩য় পর্যায়ে ৮ ও ৯ নভেম্বরের অবরোধ ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে ঝালকাঠিতে । তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক থাকায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর তেকে বেশির ভাগ মানুষ বের হচ্ছেনা। কিন্তু অবরোধের সমর্থনে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের পিকেটিং বা মিছিল মিটিং করতে দেখা যাচ্ছেনা। পুলিশের কড়া নজরদারি এবং পাহারায় গাড়ি চলাচল করলেও জনমনে আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েছে। স্বাভাবিক দিনের চেয়ে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত।
তবে হরতাল অবরোধে মাঠে নাই জেলা বিএনপি। গ্রেফতার আতংকে ঝালকাঠি শহরে কোন কর্মসূচী পালন করতে পারছে না তারা। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর মুঠোফোনে জানান, ‘সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. সৈয়দ হোসেন ও সদস্য সচিব এড. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে কোন কর্মসূচী নেই। তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগও রক্ষা করছে না। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হরতাল অবরোধ শুরুর পরের দিন থেকেই বাসায় তালা মেরে ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে। জেলার নেতাকর্মীরা তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে হতাশ। ঘোষিত কর্মসূচী পালন না করে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়কসহ অনেক আইনজীবীকে হরতাল অবরোধের মধ্যে মামলা পরিচালনায় আদালতে যেতে দেখা যায় । তিনি আরো বলেন, জেলে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের আমরা খোঁজ খবর রাখছি এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও আহ্বায়ক তাদের কোন খোজ খবর নিচ্ছেন না। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘জনগনের জানমাল রক্ষায় যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও নাশকতা রোধে পুলিশ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। অপরাধীদের কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, আমরা কৌশলে মহাসড়কে আমাদের নেতাকর্মিদের নিয়ে পিকেটিং ও অবরোধ কাজ চালাচ্ছি। জেলা বিএনপির আহ্ববায়কের নেতৃত্বে ও পরামর্শে এ কাজ চলছে। যেহেতু সরকার দলীয়রা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করছে তাই আমরা কৌশল অবলম্বন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যারা জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে তারা ঘরে থাকায় আমাদের অবরোধ কার্যক্রম টের পাচ্ছেনা।