দূরযাত্রা রিপোর্ট ঃ ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক ফারাহ্্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এ সভায় হয়েছে।
এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ, নলছিটি পৌরসভার চেয়ারম্যান, এবং নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সহ কমিটিভূক্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র তরুন কর্মকার, শিল্প বনিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা এস.এম বশিরসহ কমিটিভূক্ত সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন।
ঝালকাঠি জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সভায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির পায়তারা করছে বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করে ঝালকাঠির নলছিটির মগর ইউনিয়ন ও দপদপিয়ায় আকস্মিক ভাবে গাড়িতে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এই দলটি মানুষের মধ্যে প্যানিক সৃষ্টির জন্য তৃণমূল পর্যায়ে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির পরিকল্পনা করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়। এছাড়াও সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সকল ভোট কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার ত্রুটি রয়েছে সেগুলি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডি ও সড়ক বিভাগকে দ্রুত উন্নয়নের আওতায় আনাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও গ্রাম এলাকায় গুরু চুরির প্রবনতা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার ৪টি উপজেলায় বিগত ১ মাসে (অক্টোবর) ৫৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯জন মামলাভূক্ত আসামী গ্রেফতার হয়েছে। অপরাধ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গৃহ ডাকাতি ১টি, অরাজনৈতিক খুন ২টা, ৩টি চাঁদাবাজির মামলা, ৩টি ধর্ষন, ৩টি সিধেল, অন্যান্য চুরির ঘটনা ৩টি, ১০টি পারবারিক সংঘাতজনিত মারামারি, ১৮টি মাদক আইনে এবং অন্যন্য ১১ টি সহ ৫৪ মামলা দায়ের হয়েছে । পূর্বের মাসে এর সংখ্যা ছিল ৬৮টি এবং গ্রেফতার ছিল ৬২জন।
সভায় জানানো হয়, ঝালকাঠিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এই মাসে ১০৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে এবং ৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে ৫৬ জনকে দন্ডিত করে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে খন্ডকালিন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এই সময় ২২দিন নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান কর্মসূচি চালু থাকায় এই মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বেড়েছে এবং সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০জন জেলে রয়েছে। গত সপ্টেম্বর মাসে ২৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত এবং মামলা হয়েছে ৪৭টি। এই মামলায় ৪৬ জনকে দন্ডিত করে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৬ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।