রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা ঃ রাজাপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করতে এসে জনতার হাতে আটক হলো একাধিক মামলার আসামি মোল্লা শাওন ও সহযোগী কবির হোসেন। পরে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। আটকৃতরা হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান এলাকার ইসমাইল মোল্লার পুত্র মোল্লা শাওন (৪২) ও পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কেশবপুর এলাকার আ: রশিদ হাওলাদারের পুত্র মো: কবির হোসেন (৪০)। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের গালুয়া বাজারে। এ ব্যাপারে হয়রানির স্বীকার স্থানীয় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী রফিলুক ইসলাম বাদী হয়ে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। আটককৃত দুইজন বরিশাল থেকে প্রচারিত তারুণ্যের বার্তাসহ একাধিক পত্রিকার পরিচয় দিলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। তারুন্যেও বার্তার সম্পাদক আহমেদ রনি মুঠোফোনে জানান, মোল্লা শাওনকে তারুন্যের বার্তার আইডি কার্ড বা নিয়োগ দেয়া হয় নাই।
মামলা সুত্রে জানাযায়, ঘটনার দিন দুপুর ৩ টার সময় মামলার বাদি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সাংবাদিক পরিচয়ে দিয়ে ছেলের সাথে শুক্কুরের ঝামেলা সমাধান করে দেয়ার আশ^াসে টাকা দাবি করে। রফিকুলের মা সরল মনে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। পরে রফিকুল এ ঘটনা জেনে ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় বাজারে এ দুজনকে দেখতে পায়। তখন তাদের কাছে কোন পত্রিকার সাংবাদিক জানতে চাইলে তাদের কথায় অসংগতি টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। এই ঘটনার পূর্বে ঝালকাঠির গোয়ালকান্দা এলাকার বিপ্লব হোসেনের স্ত্রী বিপ্লবী বেগমের কাছ থেকেও প্রতারনার মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা প্রতারণা করে তারা নিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সাংবাদিকরা। বিপ্লবী বেগম ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন বলে জানান। ঝালকাঠি সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, বিপ্লবী বেগম মোল্লা শাওনকে ১নং আসামী করে একটি এজাহার দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানায়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা অবহিত হই। এর পর পুলিশ পাঠিয়ে থানায় নিয়ে আসি এ দুজনকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর করা প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।