18 October- 2024 ।। [bangla_date]


এইচআরবিপি’র রীট শুনানী শেষে কর্ণফুলি নদীর সীমানায় দখল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

ঢাকা অফিস ঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব সীমান্তে দখল, অবৈধ স্থাপনা তৈরীর বিষয় মিডিয়ার রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরবিপি) বিগত ১২ নভেম্বর একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে শুনানী শেষে আদালত রুল জারী করে নিন্মোক্ত নিদের্শনা দেন।
প্রথমত ঃ মহাপরিচালক, জরীপ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম-কে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর পূর্ব ও দক্ষিন সীমান্তে আনোয়ারা, কর্ণফুলি, পটিয়া ও বোয়ালখালি এলাকায় অবস্থিত নদীর মূল সীমানা সি.এস/আর, এস, দাগ অনুসারে বিশেস টিম এর মাধ্যমে জরিপ করে ৩(তিন) মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল এবং দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দের। দ্বিতীয়ত ঃ চট্টগ্রামের মেয়র, চট্টগ্রামের উন্ন্য়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক-কে কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের আনোয়ারা , পটিয়া কর্নফূলি ও বোয়ালখালি এর মধ্যে অবস্থিত নদীর সীমানায় মাটি ভরাট/দখল/নির্মান কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ এবং ২(দুই) সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।
বিাচারপতি মোঃ মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মোঃ আতাবুল্লাহ এর আদালত ৪(চার) সপ্তাহের রুল জারী করে কর্ণফুলি নদীর দক্ষিন ও পূর্ব পাশে ভরাট/দখল/নির্মান কাজ বন্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রশাসনিক নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষনা করা হবে না এবং নদী রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং কর্নফুলি নদীর দক্ষিন ও পূর্ব পাশে স্থায়ী স্থাপনা মাটি ভরাট ও দখল অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে বিবাদীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানীতে এইচআরবিপি -এর পক্ষে কৌশুলী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে কর্নফুলি নদীল দক্ষিন ও পূর্ব পাশে অবৈধ কাজ হচ্ছে। শুধু তাই নয় এ কাজের জন্য নদীর মূল প্রশস্ততা অনেক কমিয়ে অবৈধ দখলকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে যা আইন ও সরকারী নিয়মকানুনের পরিপন্থি। তিনি বলেন, পরিবেশ আইন, ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষন আইন, ২০০০ এর বিধান রয়েছে জলাধার ভরাট/দখল এরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কিন্ত বিবাদীরা চোখ বুজে সব সহ্য করছে। এমনকি নদী কমিশনের চেয়ারম্যান সরজমিন এলাকা ভ্রমন করে ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন কর্নফুলি ড্রাই ডক নদীর জায়গা দখল করছে এবং ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। তাদের দখল কর্মকান্ড বর্তমানেও চলমান আছে।
এইচআরবিপি এর পক্ষে রীট পিটিশনার হলেন এডভোকেট মোঃ ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া এবং এডভোকেট রিপন বাড়ৈ। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, পানি উন্নয়ন, পরিকল্পনা, ভূমি, অর্থ নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় সচিব, মেয়র ও সিডেএ চেয়ারম্যান, ডিজিএলএ বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, ডিজি পরিবশে ডিসি ও এসপি চট্টগ্রাম, পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম, ইউএনও কর্ণফুলি, পটিয়া, বোয়ালখালি ও আনোয়ারা।
বাদীপক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র এডভোকেট মনিজল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল এবং এডভোকেট নাছরিন সুলতানা, সরকার পক্ষে ছিলেন ডিএজি তুষার কান্তি।

Please Share This Post in Your Social Media




More News Of This Category




Mobile : 01712387795

Email:dailydurjatra@gmail.com
টপ
আমুর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্যে কোটি কোটি টাকার সন্ধান কাজ অসমাপ্ত রেখে গনপূর্ত বিভাগের হস্তান্তরের আগেই তত্মাবধায়কের আমুকে দিয়ে উদ্বোধনের রহস্য কী ইলিশ সংরক্ষনে ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঝালকাঠি জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় ঝালকাঠিতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ শিকারের অপরাধে দুই জেলে আটক ইলিশ হত্যায় শাস্তি রক্ষায় পুরুস্কার সচেতনতা সভায় একথা বলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক প্রতিবেশীদের অপমান সহ্য করতে না পেরে তরুণীর বিষপান শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা নিউইয়র্ক দক্ষিন বিএনপি সভাপতি সেলিম রেজার ঝালকাঠির দেরশো পুজা মন্ডপে নিরাপত্তায় আনসার সদস্য ঝালকাঠি জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের নলছিটি পুজা মন্ডপ পরিদর্শন ঝালকাঠির সন্তান মঈন ফিরোজী সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য নিযুক্ত