দূরযাত্রা রিপোর্ট ঃ ঝালকাঠি শহরে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিলের মহড়াকালে যুবলীগ দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ১৬ নভেম্বর সকাল ৯ টায়। এতে শহরের ফায়র সার্ভিস মোড় থেকে সাধনার মোড় পর্যন্ত রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ দিন শহরের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ উভয় গ্রুপের ৫ জন আহত হয়েছে। ৮/১০টি মটোরসাইকেল ভাংচুরসহ ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। সৈয়দ মিলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাযায়।
আহতদের মধ্যে মিলনসহ ৪ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও এক যুবলীগ কর্মীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগ কর্মী মো. সাগর , যুবলীগ কর্মী হারুন হাওলাদার ওরফে টাইগার হারুন অপর গ্রুপের যুবলীগ কর্মী মামুন হোসেন ওরফে কঠিন মামুন।
সৈয়দ মিলনের সমর্থক আহত সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু ও মো: সাগর জানায়, তারা অবরোধ বিরোধী মটরসাইকেল মহড়া দেয়ার সময় পোস্ট অফিস সড়কে পৌছলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, যুবলীগ আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির ও কাউন্সিলর কামাল শরীফের নেতৃত্বে তাদের অনুসারিরা হামলা চালিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। তাদের সাথে থাকা ৮/১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম জাকির জানান, আমাদের হরতাল বিরোধী মিছিলে সৈয়দ মিলন ও তার দলবল মোটর সাইকেল উঠিয়ে দিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এটা দলীয় আভ্যন্তরীন কোন্দল হতে পারে।
এদিকে শনিবার রাতে এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫০ জন অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা হয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে জানাযায়। শনিবার সন্ধ্যায় সদর থানায় আহত সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের স্ত্রী মারিয়া আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার তথ্যের সত্যতা জানা জায়নি।