দূরযাত্রা রিপোর্ট ঃ ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তার, দরপত্র, ব্যক্তিগত ও যুবলীগের কাঙ্খিত পদ পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করায় সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর রাতে গত ১৮ জেলা যুবলীগ আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহামুদ ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর মোঃ কামাল শরীফসহ ৩৯ জনকে আসামী করে মিলনের স্ত্রী মারিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আরও অজ্ঞাত ১০০/১২০ জনকে আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য ঝালকাঠি শহরে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিলের মহড়াকালে যুবলীগ দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ১৬ নভেম্বর সকাল ৯ টায়। এতে শহরের ফায়র সার্ভিস মোড় থেকে সাধনার মোড় পর্যন্ত রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ দিন শহরের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনসহ উভয় গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। ৮/১০টি মটোরসাইকেল ভাংচুরসহ ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় শহর জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
আহতদের মধ্যে মিলনসহ ৪ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও এক যুবলীগ কর্মীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগ কর্মী মো. সাগর , যুবলীগ কর্মী হারুন হাওলাদার, অপর গ্রুপের যুবলীগ কর্মী মামুন হোসেন ওরফে মামুন।
মামলার বাদী মারিয়া বগেম জানান, হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীরা মিলনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তার অবস্থা ভালনা। রক্ত দেয়া হচ্ছে। আমি এর সঠিক তদন্ত এবং আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, মিলিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে। ১ জন গ্রেফতার আছে।