সংবাদ প্রতিবেদক ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে সম্ভাব্য সব প্রার্থীর তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য পেলে সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে যাচাই-বাছাই করে ঋণখেলাপি চিহ্নিত হলে তাদের নাম নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। এ বিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি চিঠি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে পাঠানো হয়েছে।
৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ইতোমধ্যে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে শুরু করেছেন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন তাদের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এখনই পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণখেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর পূর্ণ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে সব প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (এনআইডি), করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), জš§ তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠিতে একটি নির্দিষ্ট ছক সংযোজন করে দিয়েছে। ওই ছক অনুযায়ী তথ্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর থেকে প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সিল ও স্বাক্ষর, ফোন (মোবাইল) নম্বর প্রদানপূর্বক ই-মেইলে পাঠানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে সংসদীয় আসনভিত্তিক মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাছাইয়ের দিন, তারিখ ও সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানোর জন্যও বলা হয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। তাই মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীর দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কোনো প্রার্থী ঋণখেলাপি থাকলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এ কারণে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সংশি¬ষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারাও সংশি¬ষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া আপিলের শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনেও ঋণখেলাপি প্রার্থীদের ঠেকাতে ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। গণপ্রতিনিধিত্ব অদ্যাদেশ অনুযায়ী প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হবে। তা হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন। অন্যথায় প্রার্থী হতে পারবেন না।