নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি ঃ ১৯৯৮ সালে নলছিটি শহরের ডিগ্রী কলেজ সড়কে শহীদ মিনার চত্বরটি এখন অটোরিকশা স্ট্যান্ড নামে পরিচিত। ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর এই স্থানে দুর্গন্ধে যাওয়াই দুষ্কর।
সীমানা প্রাচীর বিহীন চত্বরটিতে রাখা সারি সারি অটোরিকশার ফাঁক ফোকরে শহীদ মিনারের পিছনের অংশে গড়ে উঠেছে একটি অস্থায়ী প্র¯্রাবখানা। আর এখানেই প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাাষা দিবসে শতাধিক ফুলেল তোরায় শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরে একবার ফুল দিয়েই যেনো সবার দায়িত্ব শেষ। বাকি সময় প্র¯্রাব,ময়লার দুর্ঘন্ধ, অ-যতœ ও অবহেলায় পড়ে থাকে শহীদ মিনার চত্বরটি। এর কিছু জমি বেদখল হয়ে গেছে। অরক্ষিত থাকায় সন্ধ্যার পর ময়লা-আবর্জনা,প্র¯্রাাব করার পাশাপাশি এখানে নেশাগ্রাস্তদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব বেদখল জমি উদ্ধার করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা এবং সুবিধাজনক স্থানে অটোরিকশা স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়া।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে অরক্ষিত শহীদ মিনার চত্বরে সারি সারি অটোরিকশা রাখার চিত্র ধরা পড়ে। শহীদ মিনারটি ময়লা,আবর্জনা,দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। দেখে বুঝার উপায় নেই এটা উপজেলার প্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহীদ বেদির পলেস্তারা খসে পরায় ২০১৮ সালের দিকে তৎকালীন পৌর মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর সময়ে পৌরসভার অর্থায়নে টাইলস স্থাপনসহ সৌন্দর্য বর্ধনে সংস্কার কাজ করা হয়।
অটো যাত্রী কবির মোল্লা, আবুল কালাম, সোহেল হাওলাদার, আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, যাত্রী সাধারণ, চালক ও এলাকার বিভিন্ন লোকজন এখানে এসে প্রস্রাব করায় শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। চত্বরটি হচ্ছে দূষিত। এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
উল্লেখ্য এর আগেও একবার এই চত্বর দখল ঝালকাঠি-নলছিটি মিনিবাস সমিতির বাসস্ট্যান্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদসহ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে স্ট্যান্ডটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর পুনরায় নতুন করে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে পরিনত হয়েছে।
নলছিটি পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ কবির খান বলেন, অবিলম্বে এমপি মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শহীদ মিনার চত্বর থেকে অটোস্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে ইতোমধ্যে পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করতে বলা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।