দূরযাত্রা রিপোর্ট ॥ কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে এক কিশোরীকে গণধর্ষনের খবর পাওয়া গেছে। গত ১২ ডিসেম্বর তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের কিছু দূরে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ঘটনার পর দিন বুধবার কাঠালিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে ক্যাম্প ইনচার্জ জানান। সোমবার সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এক ধর্ষক সাগর খানকে ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসি জানায়, ক্যাম্পের ইনচার্জ মতিয়ার রহমান খবর পেয়ে কিশোরী মেয়েটির কথা শুনে অভিযুক্ত ছেলে সাগর খানকে ক্যাম্পে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেন। চেচরীরামপুর ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম খানের সন্তান সাগর খান। এ ঘটনায় কাঠালিয়া-রাজাপুর সার্কেল এসপি মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন বলে জানান। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কাঠালিয়া থানা পুলিশ মেয়েটিকে ঘটনা স্থলে নিয়ে আসে। এ সময় কোথায় কি ভাবে ধর্ষন করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ননা মেয়েটি পুলিশের কাছে জানিয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান শিশির দাস জানান। সূত্র জানায়, ঘটনার সময় সাগরের সাথে এলাকার মনির হোসেন, রাকিব ও ইব্রাহিম নামের আরো ৩ জন ছিল। এ বিষয়ে মেয়েটির মোবাইলে বার বার কথা বলতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি জানতে চাইলে ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মতিয়ার রহমান বলেন, ছেলে ও মেয়েটির সাথে সম্পর্কের সূত্র ধরে ছেলেটি ভুল তথ্য দিয়ে এখানে ডেকে এনেছে। সাগর খান মেয়েটিকে বলেছে তাকে বিয়ে করবে। তাই তার বাবা ও মা দেখতে চেয়েছে বলে এনে মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে বলে পরে শুনেছি। তবে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এখানে এসে সাগর বিবাহিত বলে জানতে পেরে সাগরের বিয়ের প্রস্তাবে সে রাজি হয়নি। তবে মেয়েটি ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে কোন অভিযোগ করেনি বলে জানায়। ক্যাম্প ইনচার্জ আরো জানান, সাগর জিজ্ঞাসাবাদে জানায় মেয়েটি আমার বাড়ি দেখতে আসছিল। কিন্তু মেয়েটিকে মিথ্যা আশ^াসে এখানে আনার অপরাধে সাগরকে আটক করলেন না কেন জানতে চাইলে ইনচার্জ বলেন মেয়েটি কোন অভিযোগ করেনি। তারাবুনিয়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো. ছালেক জানান, মেয়েটিকে ৪ জন মিলে ধর্ষন করা হয়েছে বলে জেনেছি এবং ক্যাম্পে সাগরকে এনে জ্ঞিাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনা স্থলের পার্শবর্তি এলাকাবাসি জনৈক মো. বেলাল জানান, মেয়েটির বাড়ি চেচরীরামপুর ইউনিয়নের কৈখালি গ্রামে। সেখান থেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাগর ও তার দলবল মেয়েটিকে এনে ধর্ষন করেছে বলে জানতে পেরেছি। ক্যাম্প পুলিশ ঘটনার পর প্রায় ২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেলে ও মেয়টিকে ছেড়ে দেয়। এসময় সাগরের সাথে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ঝালকাঠির কাঠালিয়া-রাজাপুর থানার সার্কেল এসপি মাসুদ রানা জানান, বিয়টি মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করে দেখছি। তাবে গণধর্ষন বা ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এতদন্তে বেড়িয়ে আসবে।