নলছিটি (ঝালকাঠি) সংবাদদাতাঃ নলছিটি উপজেলাধীন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাজী ফুয়াদকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মুরাদ আলী। ৭ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। এসময় তিনি স্থানীয় লোকজনসহ ফুয়াদের পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং থানা পুলিশকে সঠিক তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারের নির্দেশনা দেন। উপস্থিত ছিলেন মহিতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে ফুয়াদ কাজীকে তার বাড়ির সামনে চৌদ্দবুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নিহত ফুয়াদ মকবুল হোসেন কাজীর ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন কাজীর সাথে হানিফ মোল্লার বিরোধ চলে আসছিলো। ফুয়াদ কাজী জেসমিন কাজীর অনুসারী ছিল। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেসমিন কাজীর সাথে ফুয়াদ কাজীর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরপর হানিফ মোল্লার সাথে ফুয়াদ কাজীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। ফুয়াদ কাজী বর্তমানে হানিফ মোল্লার অনুসারী ছিলো।
এ বিষয় সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন কাজী বলেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় আমরা বিজয় মিছিল করে দলীয় অফিসে সবাই মিষ্টি খেয়ে যে যার বাড়ি চলে যাই। বিজয় মিছিলে ফুয়াদ শ্লোগান ধরেছিলো। বাড়ি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে খবর পাই ফুয়াদকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখেছে। সে সম্পর্কে আমার আত্মীয় হতো। তার সাথে আমার তেমন একাটা খারাপ সম্পর্ক ছিলনা। পুলিশ তদন্ত করে বের করতে পারবে কারা তাকে হত্যা করল।
নিহতের বাবা মকবুল হোসেন কাজী জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপের সাথে তার দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। তারা বা তাদের সাথের লোকজন আমার ছেলের হত্যা কান্ডের সাথে জরিত থাকতে পারে। তিনি নলছিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি জেলা পুলিশ সুপার মো.আফরুজুল হক টুটুলের কাছে তার ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মুরাদ আলী জানান, ফুয়াদ কাজী নামে একজনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। কি কারণে ঘটনা ঘটেছে জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু ক্লু পেয়েছি। নিহতের পরিবারকে মামলা করতে বলেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।