-আসাদ সরকার
নরসিংদী
বিল্ডিংয়ের ফাঁকে মাগো
চাঁদটি মারে উঁকি,
আমার মাথা যে দিকে যায়
সেদিক মারে ঝুঁকি।
মিটি মিটি আমার সাথে
চাঁদটি কেন হাটে?
আমার সাথে ঘুরে ঘুরে
যায় সে নদীর ঘাটে।
মাঝে মাঝে মেঘে কেন
আড়াল করে রাখে,
মেঘকে ফাঁকি দিয়ে মাগো
আমার সাথে থাকে।
তাহলে কি চাঁদটি আমার
বন্ধু মাগো হবে,
সারা জীবন আমার সাথে
সঙ্গী হয়ে রবে।
-নবী হোসেন নবীন
ময়মনসিংহ
যুগে যুগে আসে ওরা সময়ের ডাকে
কখনও আসাদ হয়ে এসে
বুকের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে রাঙিয়ে শার্ট
আকাশে ওড়ায় বিজয় নিশান।
কখনও নূর হোসেন হয়ে আসে
আবাবিল পাখির মত ঝাঁকে ঝাঁকে
বুকে-পিঠে আলপনা এঁকে
স্বৈরাচার নিপাত যাক
গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
কখনও আবু সাঈদ হয়ে আসে
রক্ত ঢেলে দিতে বাংলার সবুজ ঘাসে
পঙ্গপালের মত আসে
বুক চিতিয়ে হাঁকে
গুলি কর, গুলি কর, কর গুলি
রক্তে ভিজে বাংলার ধূলি।
এভাবে কী তারা চিরকাল
মুক্তির মিছিলে দিয়ে যাবে প্রাণ?
কোনোদিন ছড়াবে না ঘ্রাণ?
খেলা হবে খেলা হবে নির্মম এ খেলার
এখানেই হোক অবসান।
ঋতুর রানী
-কনক কুমার প্রামানিক
নওগাঁ
ঋতুর রাণী শরৎ এলো
বর্ষার পরে,
শুভ্রতার পরশ লাগে
প্রতি ঘরে ঘরে।
সবুজে ভরে আমন ক্ষেত
সজীবতা আনে,
সুখে ভরে ধরণীর বুক
নব নব গানে।
সাদা শুভ্র কাশের বন
সাঁজে নব রুপে,
সকালবেলা মৃদু বাতাসে
ওঠে কেঁপে কেঁপে।
,
মা দূর্গার আগমন
– কৌশল কর্মকার
দিনাজপুর
মর্তে যখন চলে মহিষাসুরের নিয়ম-
দশভূজা দুর্গা মায়ের হয় আগমন।
অসুর বোধে দশহাতে দশ অস্ত্র পায় উপহার,
সেই অস্ত্র দিয়ে মা দূর্গা করে সংহার।
সত্ত্ব, রজঃ,তমঃ গুণ মহাদেবের ত্রিশূল,
আধ্যাত্মিক ভাব জাগরণে ব্রহ্মার পদ্ম ফুল।
সকল সৃষ্টি এবং বিনাশের ভাড় বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে,
পবনদেব এবং সূর্যদেবের গতির শক্তি তীর ধনুকে।
বুদ্ধির প্রতীক হিসেবে তলোয়ার গণেশ করে দান,
দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্রের শক্তি ব্রজ্রপাতের সমান।
সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের অস্ত্র অগ্নিদেবের বর্শা,
মনের ভাবকে শুদ্ধ করতে নাগ দেবতার সর্পা।
সকল ভয় ভীতিকে দূর করতে বিশ্বকর্মার কুঠার,
অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য ও রক্ষায় যমরাজের গদার।
উক্ত সকল অস্ত্রে মা দূর্গা হলেন সজ্জিত,
ত্রিকাল জয়ী শক্তি মায়ের হয় অর্জিত।
স্বর্গ,মর্ত,পাতাল থেকে অসূর করল বোধ,
পৃথিবী কলঙ্ক মুক্ত করে নিবারণ করল ক্রোধ।
“ব্যাকুল”
-হৈমন্তী শুক্লা ওঝা
দু’ চোখে আর স্বপ্ন করে না ভীড়
গভীর রাতে।
রাত জাগা পাখি জেগে থাকে না
মোর সাথে।
প্রহরে প্রহরে ডাকে না ডাহুক
নিস্তব্ধ- নিবিড় রাতে।
চাঁদ ছড়ায় না আলো
সেই আগের মত!
এখন কেবলি ঝাপসা,
দু’ চোখে ধোঁয়াটে কুয়াশা।
নদীর দু’ ধারে ঝাউবনে
শুধু জোনাকির মেলামেশা।
ভাঙনের সুরে ব্যাকুল হৃদয়
শান্তনা কভু নাহি পায়,
স্বপ্নীল ভুবনে ফেরার!
মাটির মানুষ
-মোশাররফ হোসেন
ঝিনাইদহ
কামার,কুমার, শ্রমিক, মজুর,
চাষী ভাই আর তাঁতি,
কেউ ভাবেনা তাদের কথা
খাটছে দিবস-রাতি।
অলসতা নেইকো তাদের
নেই অহংকার দিলে,
নেই ভেদাভেদ ছোট-বড়
থাকে সবাই মিলে।
সবার জন্য অন্ন জোগায়
সবার জন্য ছোটে,
নিজের জন্য অনেক কষ্টে
খাবার তাদের জোটে।
খাঁটি মানুষ তারা সবাই
বিদ্বেষ নাই যে মনে,
কুটিলতার সুশীল সমাজ
তাকাও তাদের পানে।
মহৎ তাদের জীবন দশা
মহৎ তাদের কর্ম ,
মানতে এটা না পারলে যে
নাই রে তাদের ধর্ম।
একটু মায়া কর
-মাহবুব-এ-খোদা
একমুঠো ভাত চেয়ে আমি
লাশ হয়েছি আজ,
নির্দয়ভাবে মারলি তোরা
বর্বরতার কাজ।
অক্সফোর্ড বলে প্রাচ্যখ্যাতি
যে ভার্সিটির নাম,
রেখে গেলাম রক্তস্রোতে
সেথায় দেহের ঘাম।
কেমন মেধার ছাত্র তোরা
মারছো আমায় সব,
চুরির দোহাই দিয়ে মুখের
বন্ধ করবি রব।
কষ্ট সইতে পারছি নাকো
আর মারিস না ভাই,
পৃথিবীতে তোফাজ্জলের
কেউ তো বেঁচে নাই।
একটু দয়া কররে তোরা
একটু মায়া কর,
প্রাণপাখিটি যাচ্ছে উড়ে
হাত বাড়িয়ে ধর।
মুহাম্মদ রফিক ইসলাম’র ছড়াঃ
শরৎ এলো
-মুহাম্মদ রফিক ইসলাম’র ছড়াঃ
শুভ্র-সাদা শিউলি ফুলে
নতুন সাঁজে সাজ,
ঘোমটা খুলে পাপড়িগুলো
হঠাৎ ভুলে লাজ।
দোয়েল পাখি আসলো ছুটে
লেজ উচিয়ে তার,
শিষের টানে মন ভুলানো
সকল কাজে যার।
ডালিম ডালে ডানা নাড়ে
টুনটুনিটা ওই,
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি
মন চাগিয়ে রই।
দিঘীর জলে লাল শালুকের
কী যে দারুণ রূপ,
মাছরাঙা ওই ছোট্ট পাখি
খুশির টানে চুপ।
ঋতুর রাণী শরৎ এলো
খুশির যেনো ধুম,
ষড়ঋতুর বাংলা আমার
সোহাগমাখা চুম।
ঝরে পড়া গোলাপ ফুল
-মনিরুজ্জামান খান সোহাগ
বড় অবেলায় ঝরে পড়লো
একটি ফুটন্ত গোলাপ,
জানলো না সে এই জীবনে –
কী ছিলো তার পাপ?
নারী হয়ে জন্ম নেয়া কী
ছিলো অপরাধ,
ধর্ষিত হয়ে জীবন দিয়েও
আত্মহত্যার অপবাদ?
দেহ খানা তার ছিঁড়ে খুঁড়ে খেলো
হিংস্র নেকড়ের দল,
দেহ পল্লবী জুড়ে কামড়ের দাগ
কেমনে বলো ছল?
ফুটন্ত গোলাপ সে – পড়লো ঝরে
হায়েনার অত্যাচারে,
বিচার চাই আমি – ন্যায় বিচার
মৌমিতা হত্যার তরে।
দেশটা চলো গড়ি
-হানিফ রাজা
বাংলাদেশে জন্ম নেয়া
অপরাধ নয় কারও,
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান
আছে জাতি আরও।
জন্ম নিয়ে এসে ভবে
জানতাম কি মোর ধর্ম?
বাবা মায়ের অনুকরণ
করে শিখি কর্ম।
নিজের ধর্ম পালন করে
সবাই থাকি দেশে,
যার যার ধর্মের উৎসব এলে
পালন করি হেসে।
মাটির দেহ একই স্রষ্টা
আমরা মানব জাতি,
ভিন্ন জাতির তকমা দিয়ে
হিংসায় কেনো মাতি?
এসো সবাই মিলেমিশে
একসাথে বাস করি,
সাম্প্রদায়িকতা ভুলে গিয়ে
দেশটা চলো গড়ি।
জললিপি
-জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
ওখানে কার পায়ের ছাপ,
মন্দাক্রান্তা জললিপি
ঈশ্বর নিজেও দু’হাতে মুখ ঢেকে রেখেছে
মুক্তবাজার অর্থনীতির চাপ!
শিলালিপি কাঁদে
প্রাগৈতিহাসিক ফসিল, নবীনের স্বপ্ন ভঙ্গ দুর্দিন;
যে প্রেম আলগোছে ছেড়ে গেছে; সেই প্রেমই কি
এই আমাকে কাঁদিয়ে ফিরবে আরাধ্য চিরদিন?
শিউলী ঝরা ভোর
-সুশান্ত কুমার দে
সাতক্ষীরা
উঠান ভরা শিউলী ঝরা
খুকুর চোখে পড়লো ধরা,
ঘুম উড়িয়ে- ফুল কুড়িয়ে
খুশিতে তার মনটা ভরা।
কারণ খুঁজি পাই নি বুঝি
চোখ মুখটি সবাই বুজি
মৌমাছি যায় পাখা তুলে
সারাদিনে খুঁজতে রুজি।
মধুর ঘ্রাণে জুড়ায় প্রাণে
ধরলো সবাই খুকুর কান,
ফুলের কথায় হাসি পায়
খুকু রে ফুল করল দান।
মৌমাছি সব তুললো রব
আমরা তবে খাব কি সব?
ফুলের মালা খুকুর গলে
মৌমাছি সব যা না চলে?
মুক্তির সংলাপ
-সারমিন চৌধুরী
চট্টগ্রাম
আজকে আকাশে মেলেছি ডানা
পাহাড় দিয়েছে সজোরে ডাক,
সময় তাড়া করে টানছে সম্মুখে
জড়তা বলেছে ঘুমিয়ে থাক।
এই ক্লান্ত উদাস হিয়া চমকে উঠে
জ্যান্ত লাশের বিলাপ শুনে,
গগন বিকটে চিৎকার করে শোনায়
নব মুক্তির সংলাপ কানে।
যার জবানে আবৃত্তি কঠিন কবিতা
ঝিঁঝিঁ পোকা ছন্দে দিচ্ছে তান।
নির্ঘুম জেগেছে নবীন-প্রবীণ সবাই
দেখ তবে হেলান ধরেছে শান।
জীবনের রঙ বিবর্ণ হলেও ক্ষণিকের
অন্তরে লালিত সবুজের গান,
ফুপিয়ে আসে কান্না বিদায়ের কালে
তবুও মুখে ওষ্ঠে হাসির ভান।
আজ দ্যুলোকে ভাসছে ধবধবে মেঘ
কানন মেখেছে সোনালী রোদ।
হঠাৎই যদি ঝরে রক্ত বারি লোচনে
তারপর জাগবে আমাদের বোধ।
রুইকাতলার নিশ্বাস
-জাহাঙ্গীর চৌধুরী
টেংরা পুঁটি খেয়েছে বেশ
বোয়াল শোলে পিষে।
ভয়ে তখন রুইকাতলা’রা
কাদায় ছিল মিশে।
শোল বোয়ালের ভাবনা ছিল
জলের রাজা তারা।
তাদের সাথে টক্কর দিবে
আছে এমন কারা ?
শিং মুগুরের মাথায় এলো
পুকুর হলো সবার।
খাচ্ছে ওরা লুটেপুটে
এটাতো নয় হবার।
শিং মাগুরের তাড়া খেয়ে
পুকুর ছাড়লো বোয়াল।
শোলের দল নিগুঢ় হয়ে
বন্ধ করলো চোয়াল।
রুইকাতলা’রা ভেসে ওঠে
টানছে সুখের নিঃশ্বাস।
পুকুর ব্যাপী সবাই এখন
তাদের করে বিশ্বাস।
লতাপাতা
-মহসিন আলম মুহিন ি
লতাপাতা একসাথে গাঁথা-একসাথে বসবাস,
নদীতট একসাথে থেকেও-যেন তারা পরবাস।
লতার সুখে পাতার সুখ, এক সাথে বাঁচে প্রাণ,
নদীর সুখে, তটের দুঃখ, জীবনের অবসান।
আলো আঁধার দু’জনাতে, একসাথে থাকে মিশে-
রাত আর দিন পাশাপাশি, কেমনে থাকে বসে।
লতারে পেঁচিয়ে পাতা, জড়িয়ে থাকে বুকে ধরে,
একই অঙ্গে কত রূপ তার, থাকে চুপটি করে।
আবার লতা পাতায় কত যে, ঔষধি গুনের দেখা,
সবুজে সবুজে ভরে প্রাণ-সতেজ জীবন আঁকা।
কখনো কখনো লতাপাতায়-সবজির থাকে গুণ,
অবয়ব জুড়ে উজ্জলতা আনে, থামায় পেটের আগুন।
মরুচরে গাদাগাদি করে-হয় নাকো বসবাস,
লতাপাতা ঘেরা আঙ্গিনার মাঝে সচল নিঃশ্বাস।
এক ডগা হতে আরেক ডগা, লাগে না পারাপারে,
দেখে চোখ জুড়ায়, ঝাপসা কাটে, ঘন অন্ধকারে।
নাম শুনলে ভালো লাগে-দেখতেও কতই না ভালো,
আগাছা ভেবে উপরে ফেলনা-জীবন হবে কালো।।
ফন্দিফিকির
-আয়াজ আহমদ মাঝারভূঁইয়া
আসাম।
কষ্ট করে নষ্ট কামে
আসল কাম নাই জানা,
খুব সেয়ানা ছল-চাতুরে
চোখ থাকতে কানা।
অংক পারে, ভাষা পারে
লিখতে পারে গল্প,
গাড়ি নিয়ে গ্ৰহে ছুটে
জন সমুখে জল্প।
মিথ্যাবাদী মায়াকান্না
ভঙ্গি করে নানা।
খায় যে বেশি সর্বনাশী
পেটটা দিছে টানা।
বিজ্ঞাপনে বিজ্ঞাপিত
মুখোশ পরা ভেড়া,
প্রতিশ্রুতির গোলা ছুড়ে
তার মাথাতে ছেঁড়া।
চোরের সাথে ফন্দিফিকির
কার ঘরে দেয় হানা।
গোলাম বেটা বাবু সেজে
কোর্ট কাছারি হাঁটে,
পত্রিকাটি উল্টো ধরে
মগ্ন মরণ পাঠে।
-ঈদে মিলাদুন্নবী স:
– এখলাছুর রহমান
বিশ্ব জুড়ে যার আগমনে
খুশিতে মন উজালা,
তিনি হলেন দোজাহানের
বাদশা কামলিওলা।
যার ছোঁয়াতে প্রাণ আসাতে
মরু উঠল হাসে,
ফুল ফুটলো পাখির গানে
রবিউলের মাসে।
নূর নবীর নুরের আলো
সব আলোকিত হলো,
জাহেলিয়ার আঁধার সব
আজ দুর হয়ে গেলো।
আলোয় হলো জাহেলি আঁধার
মরুভূমির মাঝে,
মরা সাগরে আসলো জল
তাঁর রূপের সাঁজে
যাতনায় বসতি
-মহসিন আলম মুহিন
যাতনা যাতনা নানান যাতনা যাতনার নাইকো শেষ,
নীল যাতনা, লাল যাতনা, হরিৎ যাতনায় বিদীর্ণ পরিবেশ।।
কর্ম নেই, চাকরি নেই, ব্যবসা নেই, যাতনায় জীবন বন্দী,
উদ্ধারের রাস্তা এ্যাবড়ো-থ্যাবড়ো খাটে না কৌশল ফন্দী।।
সংসার যাতনা আর সহে না চাওয়া পাওয়ায় নেই মিল,
খরায়, ঝরায়, বাজে বারোটা নেই-জীবনের অন্ত্যমিল।।
বিরহের যাতনায় বসন্ত হারায় ঝরে যায় ফোটা ফুল,
প্রেম দরিয়ায় হাবুডুবু খায় মন পায় না কিনারা কূল।।
বিচ্ছেদের যাতনায় পুড়ে ছাই প্রেম-মিলনের নাই দেখা,
যাতনায় বসতি সফলতা নেই ফুটে উঠে কালো রেখা।।
পাঠক বিহনে লেখকের যাতনা প্রকাশক পড়ে খাদে,
সমন্বয়হীন সাহিত্যের আঙ্গিনা আটক অজানা ফাঁদে।।
নীতিহীন রাজা, রাষ্ট্রের বোঝা, অমানুষ কালাপাহাড়,
মীনরা উঠে গাছের ডগায়, রাজ্যটা বেদনার কারাগার।।
যাতনায় বসতি কাটবে কখন আসবে শান্তি ধরায়,
যাতনার শেষ মধুর আবেশ-জীবনের দোড়গোড়ায়।।
চারদিকে দেখি মানুষ
-জিল্লুর রহমান জিল্লু
চারদিকে দেখি মানুষ
মানুষ অবয়বে
অমানুষে ভরে গেছে
স্বার্থপর এ ভবে।।
মনুষ্যত্ব নাই মানুষে
নীতি বিবর্জিত
মানুষে মানুষ মারে
মারে অবিরত
নিষ্পেষিত মানুষগুলো
জেগে উঠছে সবে।।
বৈষম্যহীন সমাজ চায়
চায় সমঅধিকার
পরাধীনতায় আর নয়
মনে প্রাণে সবার।।
বিভেদ চাইনা জাতিধর্মে
বাঙালি ভাইভাই
সোনার বাংলায় নিরাপদে
নিঃশ্বাস নিতে চাই।
মুক্তবাক্ স্বাধীনতা
আসে যদি তবে।।
দুগ্গা এলো্
-সাহিত্য আচার্য্য
ঝালকাঠী
আজ শরৎ আভাসে
জমেছে শিশির মাঠের ঘাসে।
সেই ঘাসেরই উঠিত কিছু কাশ।
জানাচ্ছে ফের আসছিস মা করতে কদিন বাস।
হঠাৎ হঠাৎ মেঘের ভেলায় যখন হঠাৎ সূর্য হারায়
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি করে তোলে যখন প্রকৃতি মিষ্টি।
চিরচেনা এক ঘ্রাণের মায়ায়
আসবি মা তুই তখন প্রকৃতি জানায় ।
বলছে যেন ঐ ফড়িংগুলো আয় মেলে দে পাখনা গুলো
ঝেড়ে ফেলে দে সব যা আছে ধুলো।
ঘুমাসনে আর উঠরে জেগে,
দেখরে চেয়ে মা এলো বলে।
বিক্ষিপ্তকারী যন্ত্র
-সীমান্ত দত্ত
ঝালকাঠী
গাজারু আর মাতালদের গাজা মদই নেশা
তিলে তিলে জিবনটা শেষ ভযঙ্কর দুদশা।
গাজা মদ নেশাদ্রব্যে নষ্ঠ শারিরীক অঙ্গ
মোবাইল যেন সর্বনাশা ছাড়ছেনা কারোর সঙ্গ।
কলির যুগে মোবাইল নেশা সবচেয়ে উন্মুক্ত
হাতে থাকলে মোবইল ফোনটি অনলাইনে আসক্ত।
নেইতো বালাই কোলাহলে সড়ক চলাচলে
স্বর্গসুখই হাতে যেন মোবাইলের দেয়ালে।
মোবাইল বশে যুবকেরা রযেছে বৃদ্ধরাও
কাঠেরো পুতুলের ন্যায় অবুঝ শিশুরা।
সংসারেতে নেইকো মতি ঘরের রমনীর
ভাত খেতে দাও বললে খোকা হচ্ছেন অস্থির।
রাত্রীতে ঘুমের আগে ভোরেও প্রহরে
বইটি পড়লে নিযমিত অজ্ঞানতা ছাড়ে।
ভুলে গিয়ে দিবা নিশি খেতে বসেও ফোনে
পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে সঙ্গী সর্বক্ষনে।
খেলাদুলোয় মন লাগেনা শারিরীক কসরতে
দুনিয়া থেকে হয় বিছিন্ন ফোনটি থাকলে হাতে ।
অকালেতে চক্ষু দূর্বল ঘার মাথা ও ধরছে
মাদক দ্রব্য ছেড়ে দিলেও মোবইলটি না ছাড়ছে।