11 November- 2024 ।। [bangla_date]


অবহেলার জলছাপ

-জহিরুল হক বিদ্যুৎ
ঢাকা
নৈবেদ্য রাতের কাছে ভোরের আকুতি
অধরা স্বপ্নের বুকে নৈঃশব্দ্য আর্তনাদ!
ইচ্ছেরা পাখির ডানার মতো চঞ্চল
অথচ পাখির পায়ে শোষকের শৃঙ্খল।
শরতের কাশফুলে রক্তলাল আভা
ছড়িয়ে পড়েছে ওই দিগন্তের ওপারে,
কষ্টগুলো ফিরে আসে আপন নীড়ে
প্রতিশ্রুতির ডোমঘরে স্বার্থের ব্যবচ্ছেদ।
এই মাটির বুকে আছে প্রাণের স্পন্দন
বুকের ভেতর আছে রংধনু আকাশ,
ফিরে আসে ষড়ঋতু কত না রং নিয়ে
শুধু ভাগ্যটা ঝুলে থাকে অদৃশ্য কার্নিশে!
ধীরে ধীরে মলিন হয় প্রীতির পদচিহ্ন
ভেসে ওঠে ললাটে অবহেলার জলছাপ।

লোভের নাটাই

-হাফিজুর রহমান
লালমনিরহাট
ধৈর্যের বড়ো শত্রু লোভ
বাড়িয়ে দিতে ক্ষোভ,
নিরবতার ঘাড়ে অস্থিরতা
দিতে থাকে কোপ।
সহ্যের বাঁধ গুড়িয়ে দিতে
পারলে কেড়ে নিতে,
স্বার্থের সাথে থাকে লোভ
আসে না এমনিতে।
এ লোভে বাড়ে অপরাধ
হতে সবই বরবাদ,
তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়ে
করে যে বাজিমাত।

জোৎস্নায় আঁকা ছবি

-আবুল খায়ের চৌধুরী
ঝড়-বৃষ্টি আর বাদল শেষে
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
শান্ত, কোমল, স্নিগ্ধ রূপে
শরৎ রাণী আসে।
সাদা সাদা মেঘের ফালি
নীলাভ নভগোলে
নদীর পাড়ে, চরের ধারে
শুভ্র কাশে দুলে।
পূবাকাশে রোদের ঝিলিক
শিশির সিক্ত ঘাসে
বিলে-ঝিলে শালুক পাতা,
শাপলা, পদ্ম হাসে।
ভোরের হাওয়া ঢেউ খেলে যায়
আমন ধানের গায়ে
শিউলি, বকুল সুবাস ছড়ায়
মৃদু অমল বায়ে।
মিষ্টি রোদে মুগ্ধ করা
আলো-ছায়ার খেলা
কালনী নদীর বাঁকে বাঁকে
বক,শালিকের মেলা।
দিনের শেষে রঙিন বেশে
লুকায় অরুণ রবি
শারদ রাতে চাঁদের কীরণ
জোৎস্নায় আঁকা ছবি।

বিশ্ব করো জয়

-আসাদ সরকার,

নরসিংদী
ঘুমের ঘোরে থাকবে কত
বিশ্ব মুসলিম আর?
জাগো জাগো বিশ্ব মুসলিম
জাগো আরেক বার।
কেমন করে সইবে বলো
নবীর অপমান,
ফিরবে না কেউ ঘরের ভিতর
থাকতে দেহে প্রাণ।
কষ্টে কাঁদে পাহাড় নদী
কাঁদে যে আসমান,
নবীর প্রেমে পাগল যারা
রাখবে তাঁরা মান।
কলিজাতে লাগছে আগুন
হচ্ছে রক্তপাত,
জ্বেলে পুড়ে ছারখার করো
করে অগ্নি পাত।
দেহে তাজা রক্ত থাকতে
কিসের এত ভয়?
লও হাতিয়ার নবীন জোয়ান
বিশ্ব করো জয়।

গুড়ুম গুড়ুম

-শাহ আলম বিল্লাল
কিশোরগঞ্জ।
কালো মেঘের গুড়ুম গুড়ুম
দমকা হাওয়ায় আসে
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা

বৃষ্টি জলে ভাসে।
দিনের আলো হলো কালো
টাপুর টুপুর ছন্দে
ব্যাঙের ডাকে নালা ধারে
নতুন পানির গন্ধে।
ঝিরিঝিরি হাওয়া আসে
জলে ভাসা টলমল
খালেবিলে ভাসা পানি
করে যেন খলখল ।
মাঠে ঘাটে ভরা পানি
ধুলো বালি নাই তো
মিলেমিশে খেলা চলে
খোকা খুকু আয় তো।

শঙ্খচিল

-শাহজালাল সুজন
আমার মনের মাঝে এখনো ডানা মেলে
সেই শুভ্র অভিমানের সুরে ,
শঙ্খচিলের পালক ভাঁজে গুপ্ত কথা
এখনো মন সমুদ্দুর তরঙ্গে বহে।
অভিমান গুলো জমা হোক এই হৃদয়ে
লাল গালিচায় রেখে দিবো
তুমি এসো মহীধরের মত সুউচ্চ
পাষাণ চিত্তে একগাদা দুঃখের শব্দ নিয়ে।
ডাহুকের ডাক,শরতের শোভা নাই থাকুক
থেমে যাক উত্তাল সাগরের ঢেউ
নিস্তব্ধ হয়ে যাক পৃথিবীর কোলাহল
তবুও স্বপ্নের ডানায় উড়বো হয়ে শঙ্খচিল।

বিনা দোষে খুন

-কালিমুল্লাহ বিন ইব্রাহীম

শুধু শুধু বিনা দোষে
করলি তোরা খুন,
মানুষ মেরে মনে করিস
এটাই তোদের গুণ!
গুণ না তো ছাই করেছিস তুই
মস্ত বড় পাপ,
ছাড় হবে না জেলের থেকে
আসলেও তোর বাপ।
দ্বিতীয়বার কেউ যদি ফের
মানুষ মারতে চায়,
তোদের দেখে সবাই যেন
উপমাটা পায়।
বন্য প্রাণীর চেয়েও তোদের
নিকৃষ্ট দেখ রূপ,
নিজ জাতিদের দোষ পেলেও
ওরা থাকে চুপ।
মানুষ হয়েও অমানুষের
ভাবটা এবার ছাড়,
সোনার মানুষ হয়ে সবাই
সামনে আগে বাড়।

প্রভাত কত দূরে

-মহসিন আলম মুহিন
অন্ধকার রজনী কখন হবে ভোর,
সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা থামে ঘড়ির দৌড়!
জীবনের স্পন্দন কখন যেন থামে,

ছুটাছুটির মাঝে আঁধার শুধু নামে।।
সভ্যতা কই মানুষ গুলো হিংস্র কেন আজ,
এমন যুগেও যুদ্ধ চলে সাঁজে রণের সাঁজ!
কাজতো ছিলো সবার জন্য কাঁদবে সবার প্রাণ,
কই সে মায়া কই মমতা ছড়ায় বোমার ঘ্রান।।
কালো ধোঁয়া, কালো রাত্রি আগামীটাও কালো,
আসবে কখন কেমন করে জ্বলবে রবির আলো!
থাকবে মানুষ স্বপ্ন সুখে পাবে না আর আঘাত,
অমানিশা কেটে যাবে আসবে নতুন-"প্রভাত"।।
#
শেষ দেখা
-ইমরান খান রাজ
আর এটাই শেষ দেখা
এখানেই শেষ হয়েছে সকল কিছু,
শেষ হয়েছে না-বলা কিছু কথা,
শেষ হয়েছে অতৃপ্ত খানিক অনুভূতি,
আর শেষ হয়েছে কিছু শুরু না হওয়া মুহূর্ত।
আর এটাই শেষ কথা
হয়তো দ্বিতীয় বার কখনো বলা হবে না,
অনেকগুলো আবেগ, অনেকগুলো বাক্য
ভালো কিংবা মন্দ, সহজ কিংবা কঠিন
আর যেনো কোন কথাই হবে না।

ইলিশে মোড়া শরৎ

-হানিফ রাজা
ময়মনসিংহ।

শরতের রূপ কী অপরূপ
লাগছে দারুণ বেশ,
ফুল ফুটেছে মৌ জুটেছে
বইছে খুশির রেশ।
ক্ষণে ক্ষণে রৌদ্র হাসে
অকস্মাৎ ঝড়,
ঘোমট বাঁধা শরৎ রাণী
পড়ে মেঘের স্বর।
নীল গগণে শুভ্র মেঘের
ভেলা ভেসে যায়,
সাগর জলে জেলের দলে
মাছ ধরে সুখ পায়।
ঝাঁকে ঝাঁকে ধরে ইলিশ
দেখে জুড়ায় প্রাণ,
বাজার চড়া ইলিশ ভড়া
নাকে লাগে ঘ্রাণ।
বিলেঝিলে শাপলা শালুক
তটে কাশের দোল,
ইলিশে মোড়া শরতৎ বেলা
ঝরে শিউলি ফুল।

ক্ষত

-এমএ মতিন

প্রতিদিন কত কথাই বলি
বচসা বচন কত,
কে জানে কোন কথা কার
হৃদয়ে করেছে ক্ষত।
শরীরের ব্যথা শরীরের ক্ষত
সময়ে হারিয়ে যায়,
হৃদয়ে লাগা কথার ক্ষত
সময়ে যে না শুকায়।
যদি কখনো কথার আঘাত
হৃদয়ে করে ক্ষত,
সব কিছু ভাই বরবাদ হবে
যাহা করেছ হিত।
হৃদয়ের ক্ষত হৃদয়ে থেকে
ব্যথার বারি জাগায়,
কিংবা এ ক্ষত অনল হয়ে
পুড়বে জিঘাংসায়।
অনেক কথার অনেক দোষ
জ্ঞানী গুণীজন বলে,
বিবেচনা করে না বললে কথা
পড়বে যে রোষানলে।

Please Share This Post in Your Social Media




More News Of This Category




Mobile : 01712387795

Email:dailydurjatra@gmail.com
টপ
ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও দায়িত্ব সচেতনতায় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের সকল ষড়যন্ত্র রুখেতে ছাত্রদলকে রাজপথে থাকার আহ্বান ৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয় দিবস উদযাপনের দাবী বিএনপি নেতৃবৃন্দের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চালকের কাছে জিম্মি অ্যাম্বুলেন্স সেবা তত্ত্বাবধায়ক নিরব ঝালকাঠিতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতার কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জামালসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২টি এজাহার রাজাপুরে বিপ্লব ও সংগতি দিবস উপলক্ষে সভায় জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে এলে তারেক রহমান হবেন এদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী -জামাল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে ঝালকাঠিতে মতবিনিময় সভা আমুর গ্রেফতারে ঝালকাঠিতে মিষ্টি বিতরণ আনন্দ মিছিল যে কারণে তিনি এলাকায় আতংক এবং সমালোচিত নলছিটি জেডএ ভূট্টো কলেজে আগামীর নেতৃত্বে রিমনকে চায় শিক্ষার্থীরা