প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ-২১ অক্টোবর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ব আয়োডিন দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এ দিনে বিশ্ব আয়োডিন দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এ সমস্যা নিরসণকল্পে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২১ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল (ঘও) ও গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (এঅওঘ) সহায়তায় ঝালকাঠি বিসিক জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কাওছার হোসেন এবং ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহিতুল ইসলাম। বিসিক জেলা কার্যালয় উপব্যবস্থাপক আলী আজগর নাসির উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, লবণ মিল মালিকগণ, লবণ ব্যবসায়ী, ভোক্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ৯০ দশকের পূর্বে বাংলাদেশে আয়োডিন ঘাটতিজনিত সমস্যাসমূহ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। আয়োডিনের ঘাটতিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ১৯৯০ সাল হতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিকের মাধ্যমে সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লবণ মিলের নিবন্ধন প্রদান, মিলসমূহকে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ, আয়োডিনযুক্ত লবণের মান নিয়ন্ত্রণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান, লবণমিল ও বাজার পর্যায়ে মনিটরিং এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে ৭৬% পরিবার আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করছে। বর্তমানে দৃশ্যমান গলগণ্ড নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন কার্যক্রমের শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার ছিল ৬৮.৯০%। বিসিকের এ কার্যক্রমের ফলে ২০১৯-২০পর্যন্ত আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার কমে দাড়িয়েছে ২৪.৬%। বর্তমানে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার কমে আরো কমে গেছে। কোন দেশের ৯০%মানুষ পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করলে সে দেশ আন্তর্জাতিকভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। সে স্বীকৃতি পেতে আমাদের আর বেশি দেরি নেই। আর মাত্র ১৪% মানুষকে পরিমিত মাত্রায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসতে পারলেই আমরাও সে স্বীকৃতি অর্জন করবো। সে উদ্দেশ্যেই এই আলোচনা সভা। দেশের মানুষকে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসতে সচেতনতাআরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।