দূরযাত্রা রিপোর্ট ঝালকাঠির উত্তর মানপাশা গ্রামে একটি ভূমিদস্যু চক্র সংখ্যালগু ১০টি পরিবারের জমি দখল করে বাড়ীঘর ছাড়া করতে ৭জনকে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কাছে হয়রানির শিকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলো আইনগত নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে ও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের প্রতিবেশী বিনয়কাঠী ইউনিয়নের উত্তর মানপাশা গ্রামের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ আসলাম (খোকন) হাওলাদার ও মোঃ নুরুজ্জামান (হান্নান) হাওলাদারসহ তাদের সহযোগীরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবেশী মতিলাল শীল গংদের ১৩০ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে রাস্তা নির্মানের পায়তারা চালায়। এক পর্যায়ে সংখ্যালগু পরিবার গুলোর অজ্ঞাতে উক্ত চক্র উপজেলা ও এলজিইডি অফিসকে ম্যানেজ করে তাদের নিজেস্ব মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের জন্য একটি টেন্ডার আইডির মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ করালে তারা বিষয়টি অবগত হয়। এ অবস্থায় সংখ্যালগু পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জেলা জজ আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে (দেংমোংনং ৩৭১/২৪) একটি মামলা দায়েরসহ জেলা প্রশাসক, এলজিইডির নির্বাহী ও উপজেলা প্রকৌশলী বরাবরে বিষয়টি অবহিত করলে তার কাজ বন্ধ রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উর্লেখিত ব্যাক্তিরা পরিবার গুলোর সদস্যদের খুন,গুমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ভিটামাটি ছাড়া করার তৎপরতায় লিপ্ত হয় এবং তাদের ঘনিষ্টদের দিয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটদের আদালতে দ্রুতো বিচার আইনে মামলা (নং-৮৫/২৪(ঝাল) দায়ের করায়। এ ব্যাপারে মাঃ আসলাম (খোকন) হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলজিইড বিভাগ রাস্তা নির্মানের টেন্ডার দিয়েছে সেখানে তাকে দোষারোপ করা উদ্দেশ্য মূলক। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কে বা কারা মামলা দিয়েছে কি মামলা দিয়ে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তারা অন্যায় ভাবে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য বানোয়াট অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ ব্যাপারে আমিও সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরব।