দূরযাত্রা রিপোর্ট ঝালকাঠিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতির কারণে জন সাধারনকে কম মূল্যে সবজি বিক্রি করে আসছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতা। খবর শুনে রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুর রহমান শহরের সাধনার মোড়ে সবজির দোকান পরির্দশনে আসেন । সেখানে এসে জেলা প্রশাসক নিজেই সবজি মেপে জনগণের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিদিন মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করছি। সকল ব্যবসায়ীকে আহ্বান জানাবো কম লাভে আপনারা পণ্য বিক্রি করবেন। এতে জনগণ স্বস্তি পাবে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি মোঃ শিব্বির আহম্মেদ ।
ক্রেতারা বলেন, বাজারের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে এখানে সবজি পাওয়া যায় তাই আমরা এখান থেকে সবজি ক্রয় করছি। সবজির দোকানে প্রতিপিছ লাউ ৩৫ টাকা, মূলা কেজি ৩৫, শিম ১২০টাকা, কাচাঁ মরিচ ১১০টাকা , জালি কুমড়া পিছ ৩০/৩৫টাকা, পেপে ৩০টাকা কেজি , শশা ৩৫ টাকা কেজি , করল্লা ৫৫টাকা কেজি ঢেড়শ ৩৫ টাকা, গাজর ১৫০টাকা , টমেটো ১০০টাকা , পোটল ৪০টাকায় বিক্রি করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে স্বল্পমূল্যে সেবা দেওয়া। বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ক্রয় মূল্যে সবজি বিক্রি করায় জনগণ মহা খুশিতে সবজি ক্রয় করছেন। তাই এখানে থাকছে উপচে পরা ভীড়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা রাইয়ান বিন কামাল বলেন, ৪ দিন পযর্ন্ত আমরা ক্রয় মূল্যে সবজি বিক্রি করছি। আমাদের উদ্দেশ্য বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ সময় সাধারণ ক্রেতারা জানায় প্রশাসনের উদ্যোগে যদি সবজী ও মাছের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হতো বিক্রতাদের কাছে ক্রয় মূল্যের রশিদ দেখে না পেলে জরিমানা করা হলে তারা অতিরিক্ত দরে বিক্রি করতে পারতনা। এতে আরো বেশি লোক উপকৃত হতো।