রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা রাজাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর ভূম্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মধ্য মনোহরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের কারণে প্রথমে নিশিকান্তের ছেলে গৌতমের বসতঘরে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই পাশে থাকা অনন্ত শিকদারের ছেলে বড়ইয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক অসীম শিকদারের
বসতঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও ততক্ষনে বসতঘরে থাকা মালামাল সহ ঘর দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাথে উদ্ধার কাজে সহোযোগিতা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আরিফ নামের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যসহ ৪ জন আহত হন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহকারী অধ্যাপক অসীম রঞ্জন সিকদার বলেন, আগুন কিভাবে লাগছে তা আমি বলতে পারবো না, আমার পরিবারের পরিহিত পোশাক ছাড়া আামাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। নগদ টাকা খুব বেশি ছিলোনা তবে স্বর্ণ ও অন্যান্য মিলিয়ে ১৮-২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আমাদের জমি জমার দলিল পত্রাদি সবই ঘরেই ছিল কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ্র চন্দ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উদ্ধার কাজে সহোযোগিতা করেন। রাজাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, রাজাপুর ও কাউখালির ৩টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তবে পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। বৈদুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।