দূরযাত্রা রিপোর্ট: ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ২২ নভেম্বর বিকেলে ৭নং পোনাবালিয়া ইউনিয়নের আফছার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সময় সভাটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়। মাঠের কানায় কানায় মানুষে ভরে উঠে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোনাবালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান মাষ্টার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক এজাজ হাসান, পৌর বিএনপির সভাপতি আ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান ,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোকন মল্লিক , জেলা বিএনপির সদস্য আ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন , জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন,। উপস্থিত ছিলেন যুব দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রবিউল হোসেন তুহিন, যুব দলের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট. আনিচুর রহমান খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু , তাতি দলের সভাপতি মোঃ বাচ্চু হাসান ,পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামীম মৃধা । এছাড়া পোনাবালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজেদুল হক মজিদ হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রহমান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মোল্লা । সভা শুরুতে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি সহ সকল নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে দলীয় প্রগ্রামে এসে আমরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলাম । সৈরাচার শেখ হাসিনা পালানোর পরে ও এখনো সেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এলাকায় আছে। তাদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধান অতিথি আ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাদের দল বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসলে আমাদের ১৭ বছরের কষ্ট সার্থক ও সফল হবে। বিগত দিনে আমাদের কোন আন্দোলন সংগ্রাম
করতে দেয়নি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ । পুলিশ পেটোয়া বাহিনী দিয়ে ও নিজের দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে
আমাদের দমন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেনি।
বক্তারা বলেন আমরা ১৭ বছরে কোন প্রগ্রাম করতে পারেনি এই এলাকায় । আমরা চাই না আওয়ামী লীগের কোন নেতা
বিএনপিতে আসুন। এলাকায় এখনো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীরা আছে তারা আমাদের বিভিন্ন কুটক্তি করে।
তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।