দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দশনাকান্দা গ্রামের বাগান থেকে বিধবা আয়শা বেগম (৫৫ ) নামে এক নারীর রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলেন।
২৫ নভেম্বর সকাল ৯টায় ঝালকাঠি থানা পুলিশ খবর পেয়ে মৃতুদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। আয়শা বেগমের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে এবং ১২ বছর পূর্বে তার স্বামী রশিদ শরিফের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আশয়া বেগমের সাথে তার চাচাতো শশুর মালেক শরিফ ও একই বাড়ির জব্বার আলীর সাথে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। এই কারণে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অন্য একটি বাড়ির বাগানে নিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলে রাখে। আয়শা বেগমের শরিরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে তার জিহ্বা বের হওয়া ছিল এবং তার দুই চোখ থেকে রক্ত ঝড়ে ছিল। শাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ বিষয় নিহতের বড়ছেলে রাশেদুল শরীর জানান ১২ বছর আগে আমার বাবা মারা গেলে তিনি ছোট ভাইকে নিয়ে এখানে বসত
ঘরে বাস করতেন। আমি ঝালকাঠিতে থাকি। দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচা ও চাচাতো ভাইদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত ভাবে আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু পুলিশ ও প্রতিবেশীরা বলছে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ময়নাতদন্তের দরকার নেই। তাই আমি মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে ময়না তদন্তের কথা বলেছি। এ ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় ২৫
নভেম্বর সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।