দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে ঝালকাঠির শেখেরহাটে বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপপাট মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরকে বহিস্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যারিষ্টার এস.এম রইস হায়দার।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের আলী হায়দার কায়সারের ছেলে যুবায়ের। এ ঘটনা জানিয়ে জমি মালিক ব্যারিষ্টার এস.এম রইস হায়দার বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে এ কথা্ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ব্যরিষ্টার রইস হায়দার বলেন, আমরা অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করছি। আমাদের গ্রামের বাড়ী ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে আমার পূর্বপুরুষের বিপুল পরিমান সহায়-সম্পত্তি ওয়াকফ ষ্ট্রেট হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। উক্ত ওয়াকফ ষ্ট্রেট অবৈধ ভাবে গ্রাস করার জন্য শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের পরসম্পত্তি লোভি সৈয়দ উম্মাতুল ইসলাম দুলু মিয়া ও তাহার পুত্র সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম যুবায়ের (৩৮) একের পর এক মামলা-মোকদ্দমা করে ব্যর্থ হয়ে। একপর্যায়ে সৈয়দ যুবায়ের ওয়াকফ সম্পত্তি জবর-দখলের লক্ষে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত ও মহামান্য হাইকোর্টে বহুবার মামলা দায়ের করলেও কোন বৈধতা না থাকায় তারা সকল আদালতেই পরাজিত হয়।
উক্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তি বেআইনী ভোগ-দখলের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ বিকাল সারে ৫ টার দিকে যুবায়ের একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ রাজপাশা গ্রামে আমাদের বসত গৃহের ঐতিহ্যবাহী কাচারী ঘরখানা অগ্নি সংযোগ করে সম্পূর্ন পুড়িয়ে দেয়। সন্ত্রাসী বাহিনী বসত গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও মালামাল ভাংচুর করে এবং স্টীলের আলমারী ভেঙ্গে ৫ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৪ লক্ষ টাকা নিয়া যায়। এসময় আশেপাশের লোকজনসহ নিরপেক্ষ স্বাক্ষীরা স্বন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গেলে তারা বিএনপির বরাত দিয়া সবাইকে জীবন নাশক হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘর হইতে চলিয়া যায়।
ঘটনায় আমি বাদী হইয়া ১৮ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি থানায় এজাহার দায়ের করি। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পেলে জিয়াউল ইসলাম যুবায়েরসহ আসামীদের বিরুদ্ধে, ১৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। এরপর থেকে যুবায়ের আমাকেসহ মামলার স্বাক্ষীদের খুন-গুম করা, মিথ্যা মামলার আসামী করে জেলে দেয়াসহ নানবিধ হুমকি দিয়ে আসছে।