দূরযাত্রা রিপোর্টঃ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্মরণ সভা শোক সভায় পরিনত হয়। জেলা প্রশাসনঝালকাঠির আয়োজনে শনিবার ৩০ নভেম্বর সকালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মরণ সভায় শহীদদের স্মৃতির কথা তুলে ধরেত গিয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের নির্মমতার শিকারে তাদের স্বজন হারোনোর বেদনা বলতে গিয়ে কষ্টে বুকের ভিতরের চাপা কান্না চেপে রাখতে পারেনি তারা। ফলে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের এ দুমাসে নির্যাতন, হত্যা, গুম ও খুনের শিকার পরিবার গুলোর স্বজন হারোনো বেদনা কিছু সময়ের জন্য হলেও ভাগ করে নেন উপস্থিত অতিথিরা। ঝালকাঠি জেলায় জুলাই আগষ্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১০ জন শহিদ এবং ৩৩জন আহত হয় ।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় , সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, জুলাই- আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের পরিবারবর্গ, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
স্মরণ সভায় আহতরা তাদের আন্দোলন সংগ্রামের স্মৃতিচারন করেন এবং নিহত শহীদদের পরিবারের সদস্যরা তাদের নির্মম গণহত্যা পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের এ ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ সময় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভাশেষে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।