দূরযাত্রা রিপোর্টঃ শাসকের অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. মো: শফিকুর রহমান বলেছেন, যাদের জাতির সেবক হওয়ার কথা ছিল তারাই মালিক হয়ে বসে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তারা রাষ্ট্রের মালিক না হয়ে সেবক হবে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সবাই যেন মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে। আমরা কে ধনী কে গরিব সেটা দেখব না, দেখব আশরাফুল মাকলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যের প্রয়োজনে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তিনি সোমবার সকালে ঝালকাঠি জেলার ইশারা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
“যে দেশের শাসকরা অন্যায় ও জুলুমে দেশটাকে পূর্ণ করে দেয় এবং জনগণ চুপ করে সহ্য করে, সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি নেমে আসে। তবে, যদি জনগণ শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহর সাহায্য করেন। জামায়েতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে এই দেশে জনগণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। তারা মর্যাদার সাথে বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, আর পেশাগত দায়িত্ব পালনেও অনেকে সুযোগ পায়নি। দেশটি খুন, ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভরে গেছে। বহু মায়ের বুক খালি করা হয়েছে, বাবার সামনে থেকে তার সন্তানকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেছে। বিচারের নামে বিচারক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ১১ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ঘটানো জুলুমের কথা
উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “দুইজন সাবেক আমীরসহ ১১ জন নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ ফাঁসির দণ্ড পেয়েছেন, কাউকে আবার কারাগারে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। “আপনাদের এই অঞ্চলের গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব, সারা মুসলিম উম্মাহর গর্ব, যাকে কোরআনের পাখি বলা হত, তাকেও জেলের ভেতরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে পৃথিবী জুড়ে কল্যাণের বার্তা পৌঁছানোর জন্য কাজ করছিলেন। তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত যাদের অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের সবাইকে স্বীকৃতি দিন এবং তাদের ওপর সন্তুষ্ট হোন।
ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর এড. মো: হাফিজুর রহমান। এসময় বরিশাল বিভাগের জেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।