দূরযাত্রা রিপোর্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে ৩৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন পুলিশ আমাদের নিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ড্রাইভার শাহাদাত কে ফোন দিয়ে নিয়ে আসা হয়। ড্রাইভার শাহাদাত চাবি দিয়ে এম্বুলেন্স খুলে দেয় তখন ডিবি পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্সের ভিতর থেকে ৩৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে আমাদের সামনে। তিনি আরো বলেন ওই অ্যাম্বুলেন্স শাহাদাত ছাড়া অন্য কেউ চালায় না।
এ বিষয়ে ডিবি ওসি সেলিম উদ্দিন বলেন, তল্লাশি চালিয়ে অ্যাম্বুলেরন্সর ভিতরে টুল বক্স থেকে ৩৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। ড্রাইভারকে ফাঁসানোর জন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে ভিতরে রাখতে পারে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক লোক জানিয়েছে, শাহাদাত দীর্ঘদিন ডাক্তারের কোয়ার্টার ব্যবহার করে মাদক সেবনও ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবহার করার জন্য তার ব্যবহার সবসময় উগ্র থাকে। ড্রাইভার শাহাদাতকে ডোপ টেস্ট করালে আসল সত্যতা বেরিয়ে আসবে। প্রতিদিন রাতে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চলে মাদকের আড্ডা। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যদি কেহ ইয়াবা রেখেও থাকে চালক প্রতিদিনি ডিউটি শেষ করার পর গাড়ি চেক করেইতো দরজা লক করে যায়। তাহলে তখন সেখানে ইয়াবা থাকলে দেখে নাই কেন।
এবিষয়ে ড্রাইভার শাহাদাত বলেন, রোগীর স্বজনরা টুল বক্সের ভিতরে ইয়াবা রাখতে পারে এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।