দূরযাত্রা রিপোর্টঃ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি জীবা আমিনা আল গাজীর গাড়িবহর ও তাঁর ওপর ২০১৮ সালে একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুসহ
মোট ৪২ জনের নামে ঝালকাঠি ও নলছিটি থানায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে জীবা আমিনা আল গাজী বাদী হয়ে এজাহার দুটি
দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন দুটি এজাহারই মামলা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে ১৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠি শহরে ও ১৪ ডিসেম্বর নলছিটিতে
বিএনপির স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহসভাপতি জীবা আমিনা আল গাজীর গাড়িবহরে ও
তাঁর ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে জিবা আমিনা আল গাজীসহ বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। জিবা আমিনা আল গাজীর গাড়িটি ভাঙচুর করে তাঁরা। এ ঘটনায় হুকুমের আসামি করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহআলম ও সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরকে আসামি করা হয়। এছাড়াও হামলায়
সরাসরি অংশ নেওয়া ঝালকাঠিতে ২৪ জন এবং নলছিটিতে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। দুই উপজেলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন তিন শত। এজাহার দায়েরর সময় জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মতিয়া মাহফুজ জুয়েলসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জিবা আমিনা আল গাজীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দলের
প্রার্থীকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। মামলা হামলা করে তাদের এলাকা ছাড়া করেছে। তখনকার বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী জিবা আমিনা আল গাজীর ওপর শেখ
হাসিনা ও আমির হোসেন আমুর নির্দেশে ঝালকাঠি ও নলছিটিতে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় দুটি থানায় পৃথক দুটি
এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জীবা আমিনা আল গাজী বলেন, ২০১৮ সালে আমি ঝালকাঠি-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ
নিয়েছিলাম। তখন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনা ও আমুর নির্দেশে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে আমিসহ অর্ধশত
নেতাকর্মী আহত হই। এতো দিন ফ্যাসিষ্ট সরকারের জুলুম নির্যাতনের কারণে কেউ মামলা করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে, তাই ঝালকাঠি ও নলছিটি থানায়
দুটি মামলা দায়েরের জন্য এজাহার দিয়েছি। ওসি মহোদয়রা জানিয়েছেন তাঁরা এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করবেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, এজাহার পেয়েছি। জিবা আমিনা আল গাজী থানায় এসে এজাহার দিয়ে গেছেন। আমরা
পর্যালোচনা করে মামলা রেকর্ড করবো। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এজাহার দিয়েছেন জীবা আমিনা আল গাজী। মামলা রেকর্ড করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।