কামরুজ্জামান সুইট, ঝালকাঠিঃ দীর্ঘ ১২বছর পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনন্দঘন পরিবশে ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ প্যানেলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হাসান। গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এক বছরের জন্য আইনজীবী সমিতির নতুন এ নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। এতে অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি প্রকাশ্য ঘোষণায় জানান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন ৫৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। তিনি পেয়েছেন মোট ৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম
পেয়েছেন ২৮ ভোট। সহসভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট খান শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নুর হোসেন পেয়েছেন ৬০ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে পৌর বিএনপির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৪ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট সোহেল আকন পেয়েছেন ৩৭ভোট। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসান সিকদার ৮০ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত মিজানুর রহমান মুবিন ৫২ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ৩৯ ভোট পেয়েছেন। অর্থ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন (৩) ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফিরোজ হোসাইন পেয়েছেন ৩০ ভোট। ভিজিল্যান্স সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মোফাজ্জেল হোসেন ৬৮ ভোট পেয়েছেন। লাইব্রেরী (গ্রন্থাগার) সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন খান ৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আলআমীন (৩) ৬৩ ভোট পেয়েছেন। ভর্তি সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার ৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান ৩৫ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. কাঞ্চন মিয়া ৩১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাহী সদস্যের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান ৯৩ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মাসুম হাওলাদার ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট এ.ওয়াই.এ. সাইয়েদ ৪২ ভোট ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ জোমাদ্দার ৫৩ ভোট পেয়েছেন।
আওয়ামীলীগ ও বাম পন্থিরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বলেন, তারা প্যানেল দিয়ে অংশ গ্রহন করেনি। কিন্তু ভোটে অংশ গ্রহন করেছেন। আমরা ফেয়ার ইলেকশন করেছি যা আপনারা সাংবাদিকরাও দেখেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াত বিএনপি থাকতেও বিএনপিপন্থি আরো একটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা আদর্শগত ভাবে বিএনপিরই। জামায়াত আলাদা ভাবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় অংশগ্রহন ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে বলে মনে করি।