দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর আমতলা সড়কের বাড়ি ভাঙ্গা শুরু করেছে ছাত্র জনতা। ৬ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ছাত্র জনতা প্রস্তুতি নিয়ে হাতুরি দিয়ে তার ভবন ভাঙ্গা শুরু করে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে। এছাড়া ভাবংচুর করা হয় জেলা প্রশাসনের জমি দখল করে ফিরোজা আমু হোমিওপেথিক কলেজের সীমানা দেয়াল। আমুর বাড়ি ভাঙ্গার শুরুতে ছাত্র জনতার সংখ্যা কম হলেও পরে তাদের সাথে যোগ দেয় সাধারন মানুষ। তারা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমু ঝালকাঠিতে এসে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চলে যেতেন। একানে তার নিযুক্ত ৫ নেতা ছিল। এরা একেক জন পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন। কেহ এলজিইডি, কেহ গণপূর্ত, কেহ পৌরসভা, আবার কেহ সড়ক বিভাগ এবং পাবলিক হেলথ। এই টেন্ডার সিন্ডিকেট টাকা ঘুচিয়ে রাখতেন। আমু সরকারি সফরে এসে টাকা নিয়ে লোক দেখানো কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করে চলে যেতেন। তার স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই তিনি ছিলেন জনবিচ্ছিন্ন। এভাবে ১৫ বছর ঝালকাঠিতে লাটপাট ছাড়া কোন উন্নয়ন না হওয়ায় বহিপ্রকাশ এই বাড়ি ভাংচুর।
এর আগে ৫ আগষ্ট বিকেলে ছাত্র জনতা তার এই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে প্রথমবার ভাংচুর করা হয়। এসময় ৫ কোটি টাকাসহ বিদেশী টাকা পাওয়া যায় আরো কোটি টাকার মতো। যৌথ বাহিনী সেই টাকা উদ্ধার করে প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়। ৬ জানুয়ারি আজ ভাংচুর চলাকালিন সময়ে ঝালকাঠির শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমু ঝালকাঠির এই বাস ভবনে জনগনের টাকা লোপাট করে ভাগবাটোয়ারা করত। এখানে স্বৈরাচার দোষরদের নিয়ে মিটিং করে লুটপাটের পরিকল্পনা করা হতো। এলাকার মানুষদের জায়গা জমি বেদখল করার পরিকল্পনা হতো এখানে।
তাই এখানে আমরা ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে নামাজ পরার ব্যবস্থা করব। আমুকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার উপাধি দিয়ে ছাত্র জনতারা বলেন, জেলার সকল নিয়োগের টাকা লেনদেন হতো এ বাড়িতে। ঝালকাঠিতে আর যেন কোন সন্ত্রাসী ও গডফাদার তৈরী না হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বাড়ি ভাংচুর করার সময় ছাত্র জনাতা খুনি হাসিনা, আমুসহ সকল দোষরদের বিচার ও ফাসি দাবি করে শ্লোগান দেয়। ভাংচুর চলাকালে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তবে বাড়ির ভিতরে গান বাজনার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে ছাত্র জনতাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন,জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে আমরা এই আন্দোলন করছি। ভাংচুরের সময় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টার নথিপত্রসহ মহিলাদের পোশাক পাওয়া যায় বাড়িটির ভিতর থেকে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমরা এই মাত্র শুনেছি। খোজ খবর নিচ্ছি।