9 May- 2025 ।। [bangla_date]


১৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল উদ্বোধনের দেড় বছরেও চালু হয়নি

দূরযাত্রা রিপোর্টঃ উদ্বোধনের দেড় বছর পার হলেও ঝালকাঠির ১৫০ শয্যার হাসপাতালটি এখনও চালু হয়নি। শুরু হওয়া কার্যক্রমও সমাপ্ত হয়নি। ঝালকাঠি
জেলায় ৮ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারছেনা সদর হাসপাতালটি। বর্তমানে ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৫ শতাধিক
মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও পাচ্ছেনা কাঙ্খিত সেবা। পাশাপাশি নির্মানাধীন নতুন ভবনটি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এটি কবে নাগাদ চালু হবে তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ।

সাত বছর ধরে চলা অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এখনও চলছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, লিফটের
অসমাপ্ত কাজ, জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনও কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৩ সালে জেলাবাসীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে
প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালটি ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে, ২০১৮ সালে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ৯ তলা ভবন নির্মাণের প্রকল্প শুরু হয়। দেড় বছরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও চলমান। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হলেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। তড়িঘড়ি করে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে অসমাপ্ত এই ভবনটি উদ্বোধন করা হয় সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুকে খুশি করতে। তবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভবনটি হস্তান্তরের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পত্র পাঠালেও তারা এখনও ভবনটি গ্রহণ করেনি। কারণ এখনো ৯ তলা পর্যন্ত লিফটের কাজ শেষ হয়নি। সূত্র আরো জানায়, ভবনটির অসম্পূর্ণ নির্মাণকাজ এবং লিফট স্থাপন না হওয়ায় সেটি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এই প্রকল্পের কোন সুফল পাচ্ছেনা জেলাবাসি। জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য এখনও রোগীদের বরিশাল শহর বা প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। যা দরিদ্র রোগীদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী লিপি বেগম বলেন, এখানে জ্বর,কাশি ও ডায়রিয়া, আমাশা ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায় না।
বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে এসে বিনা চিকিৎসার পাশাপাশি ডাক্তারও পাওয়া যায় না। আরেক রোগীর স্বজন সোহাগ খান বলেন, প্রায় দুই বছর হলো ১৫০ শয্যার
হাসপাতাল উদ্বোধন হয়েছে, কিন্তু কার্যক্রম চালু হয়নি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই নয়। শুধু লুটপাট আর রাজনীতি ছাড়া এই প্রকল্প দিয়ে এখন পর্যন্ত
জনসাধারনের কোন সেবা হচ্ছেনা। ডাক্তার দেখাতে আসা নবগ্রামের খাদিজা বেগম (৪৫) জানান, তিনি তার শাশুড়িকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে

এনেছিলেন। তবে এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেয়ে তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এ হাসপাতালের কি প্রয়োজন ছিলো। এ বিষয়ে নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, কাজ শেষ করার পর কর্তৃপক্ষকে বারবার
মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা এখনও নির্মাণ কাজ বুঝে নিচ্ছেনা। এর ফলে অনেক যন্ত্রাংশসহ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) টি.এম মেহেদী হাসান সানি বলেন, নতুন ১৫০ শয্যার হাসপাতালটি বুঝে নিতে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। শয্যা সংকট কম থাকার কারণে ডাক্তার ও নার্সরা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন ভবন চালু হলে আগের ১০০ এবং নতুন ১৫০সহ মোট ২৫০ শয্যার হাসপাতালের সুবিধাভোগ সম্ভব হবে রোগীদের।

Please Share This Post in Your Social Media




More News Of This Category




Mobile : 01712387795

Email:dailydurjatra@gmail.com
টপ
ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ নার্সিং ডিপ্লোমাকে স্নাতকের দাবিতে ঝালকাঠির পাশা নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি আহ্বায়কসহ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ ঝালকাঠি সুগন্ধা নদী থেকে শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার ১৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল উদ্বোধনের দেড় বছরেও চালু হয়নি ঝালকাঠিতে জেলা রোভার স্কাউটের লিডার বেসিক কোর্স উদ্ধোধন রাজাপুরে পদ স্থগিত নেতা নাসিমের বিরুদ্ধে এবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংকেতের অপেক্ষায় ঝালকাঠির কাউন্সিল, দিনক্ষণ ঠিক না হলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঝালকাঠিতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান ঝালকাঠিতে কেন্দ্রে নকল ও সহায়তা করায় ১২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ১৩ শিক্ষকের অব্যাহতি