ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ জেলা বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে কেন্দ্রীয় দুই নেতা প্রার্থী হবার পর বিতর্ক যেন তাদের পিছু ছাড়ছেনা। এবার ঝালকাঠি জেলা বিএনপি সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সকল কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপির দুই নেতা। আবেদনে স্মাক্ষরিত দুই নেতা হলো সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আযম সৈকত ও বিএনপি নেতা কর্নেল অবঃ মোস্তাফিজুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে করা এ আবেদনের অনুলিপি দেয়া হয়েছে দলের মহাসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে।
জেলা কাউন্সিলের সভপাতি প্রার্থী কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল ও সম্পাদক প্রার্থী বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য মাহাবুবুল হক নান্নুকে বিরত রাখতে গত ৭ মে এ আবেদন করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেয়ে ত্যাগি ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হবে বলে আনন্দিত। কিন্তু গত ২৩ এপ্রিল এই কেন্দ্রীয় দুই নেতা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হওয়া সত্বেও নিজেদেরকে প্রার্থী ঘোষনা করেন। তাই সম্মেলনকে স্বচ্ছ, প্রভাব মুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা জরুরী প্রয়োজন। তারা দলের বিগত ১৭ বছরের ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার গভির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এরা আওয়ামলীগ নেতাকর্মীদের পাশে বসিয়ে সাথে নিয়ে সভা সমাবেশ করছে। এমনকি চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃংখলার অভিযোগে পদস্থগিত নেতাদের সাথে নিয়ে
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সভা সমাবেশ করছে। তাই এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আবেদনে অনুরোধ জানানো হয়।
ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার প্রার্থীতা ঘোষনায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ কেন্দ্রীয় পদে থেকে তারা প্রার্থী হতে পারবে কিনা এ বিষয়ে পরিস্কার ভাবে নেতাকর্মীরা কিছুই জানেনা। এতে জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে কেন্দ্রীয় দুই নেতা আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতার বহিপ্রকাশ ঘটেছে এই আবেদনে।
এ বিষয়ে মাহাবুবুল হক নান্নু বলেন কে কি অভিযোগ দিয়েছে তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আর যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দেয়ায় তা থেকে রেহাই পেতে এসব করছে।