দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকায় জমির বেড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে সমির মল্লিক (৪০) কে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে
বলে স্বজনদের দাবি। এলাকার আলতাফ মল্লিকের ছেলে সমির মল্লিøক। ২০ মে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। সমির মল্লিক জমির সার্ভেয়ার
পেশায় কাজ করত। ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নং কৃষ্ণকাঠি ওয়ার্ডের মল্লিক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সমির মল্লিকের স্ত্রী রুমা বেগম জানান, ঘটনার সময় বাড়ির পার্শবর্তি বিরোধীয় সম্পত্তির সিমানায় সমিরের চাচাত ভাই বাবুল মল্লিক (৬৫) বেড়া দিতে ছিল। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সমির বেড়া না দিতে বাঁধা দেয় বাবুল মল্লিককে। এতে বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে বেড়ার কাজে ব্যবহৃত শাবল দিয়ে সমিরকে আঘাত করে। তখন সমির ঘটনা ¯’লেই মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্ত্রী রুমা আরো জানায় বাবুল প্রায়ই বিরোধীয় সম্পত্তি
নিয়ে সমিরকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল। এই সম্পত্তির জের ধরে প্রায় ১ বছর আগে সমিরের বড় ভাই রিপন মল্লিককেও নারী ঘটিত সাজানো ঘটনায় হত্যা করা হয়। যার সাথে বাবুল মল্লিক জড়িত রয়েছ বলে তিনি জানান। পুলিশ সমির মল্লিকের মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাবুল মল্লিকসহ তার স্বজনরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি ও বাবুল মল্লিকের বড় ভাই স্বপন মল্লিক জানায় উল্টো কথা। ঘটনাস্থলে দেয়া পূর্বের বেড়া ভাংতে দা শাবল নিয়ে উপস্থিত হয় সমির মল্লিক। এ সময় তার প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় নিজেই সেখানে ঢলে পরে মারা যায়। বাবুল মল্লিক ঘটনাস্থলে থাকলেও বার্ধক্য জনিত কারণে শাবল দিয়ে বাঁধা দেয়ার সাহষ বা শক্তি ছিল না। সেখানে সমির মল্লিক লোকজন নিয়ে বেড়া ভাঙ্গতে আসার ঘটনা দেখলেও বাবুল মল্লিক সেখান থেকে নিরবে চলে যায়।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্তক্যরত চিকিৎসক মেহরিন বলেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া
যায়নি। পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পক্ষে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে।