দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার নবগ্রাম ফকির বাড়ী সংলগ্ন মকরমপুর দরবার শরীফ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে থাকা মেহগনি গাছ কাউকে না জানিয়ে ৮ জুন সকালে বিক্রি করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হারুন আর রসিদ।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে ৮ জুন সকালে মাদ্রাসা মাঠের পাশে মেহগনি গাছটি মাদ্রাসা সুপার স্থানীয় গাছের ব্যবসায়ী রহিম ফকিরের কাছে বিক্রি করেন। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা না থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে কেহ বিক্রি করতে পারে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার হারুন আর রসিদ এর নিকট জানতে চাইল তিনি বলেন, একটি মেহগনি গাছ বিক্রি করেছি ১৩ হাজার টাকায়। বন্যায় মাদ্রাসার একটি কক্ষ ভেঙে যায়। সে রুম মেরামতের জন্য গাছ টি বিক্রি করেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছেন কিনা ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো অনুমতি আমি নেই নি। রুম ভেঙ্গে পড়েছে এ
বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মেরামতের জন্য দরখাস্ত করেছি । তবে তাদেরকে না জানিয়ে গাছ বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয় গাছ ক্রেতা স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী রহিম ফকিরের কাছে গাছ বিক্রির বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমার কাছে বিক্রি করেনি আমি শুধু কেটে দিয়েছি। মাদ্রাসার সুপার আমাকে এই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে । এই গাছ থেকে টেবিল চেয়ার বানানো হবে মাদ্রাসায় । স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, এর আগে মাদ্রাসার কাঠের ঘরের পিছনে ২ টি আকাশ মনি, একটি মেহগনি ও একটি রেইন্টি গাছ বিভিন্ন সময় মোট ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হারুন আর রসিদ।