দূরযাত্রা রির্পোটঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ করেছে আজাদ হাওলাদার।
গত ৯ জুন রাত ৮টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে তিনি লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। আজাদ হাওলাদার একই উপজেলার শুক্তাঘড় গ্রামের আলহাজ্ব জাফর আলী হাওলাদারের পুত্র ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “আমি রাজাপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ৩নং সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আমাদের গোটা পরিবার বিএনপি সমর্থক। বিগত প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের অত্যাচারের শিকার হয়ে ৪টি রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছি। মামলা নং জিআর ২৭/২০১৪, ৬৮/২০১৩,৬৯/২০১৩ ও দ্রুত বিচার মামলা নং ০৫/৮৬সহ আরো কয়েকটি মামলার আসামী ছিলাম।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ডাকুয়ার ২ পুত্র শফিউল বাসার বাদল ও মাসুম বিল্লাহ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতী করে চাকুরী নেয়। এ ব্যাপারে আমার পিতা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বর্তমানে বিএনপির পদ স্থগিত রাজাপুরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মদদে তারা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৯ জুন সকাল ৯টায় কাঠিপাড়া সাকিনের পতিত আওয়ামীলীগ থেকে নব্য বিএনপি দাবীদার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ডাকুয়া ও তার ৩ পুত্র শফিউল বাসার বাদল, মাসুম বিল্লাহ ও মামুনের নেতৃত্বে মো: আলমগীর তলুকদার, যুবলীগ নেতা মধু তালুকদার, মিরাজ তালুকদার, জেনারুল, সারোয়ার হোসেন সরো, রাজাপুর মুজিব বাহিনী প্রধান, আ’লীগ নেতা মো: নুর হোসেন, মো: জুয়েল, মতলেব বিডিআর, আব্দুল হাই, রুহুল আমিন, খাইরুল, বাদশা, ইমাম হোসেন, দেলোয়ার মোল্লা, কাওসার মোল্লা, আব্দুল হাই মোল্লা, শাহ আলী মোল্লা, আমীরসহ শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মানব বন্ধনের নামে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে আমাদের জমিতে হাল চাষ করে দখল করার চেষ্টা চালায়। সাংবাদিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়। আমাদের বাড়ির সামনে গিয়ে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু এলাকাবসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ডাকুয়ার বিষয়ে তদন্তকালে আমরা স্বাক্ষী দিলে আমাদের উপর তিনি ও তার পুত্ররা হামলা চালায় । এতে আমাদের ৭/৮ জন গুরুতর আহত হয়, যা যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। আমি যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে এ ঘটনার সুবিচার প্রার্থনা করছি, বর্তমানে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে, তাই প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমি এ ঘটনার সুবিচার দাবি করছি।