নলছিটি (ঝালকাঠি) সংবাদাতাঃ নলছিটি জেলা মহিলা দলের উদ্দোগে ঈদ পুর্ণমিলনী ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে । গত ১১ জুন বিকাল ৪ টায় নলছিটি উপজেলা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জীবা আমিনা আল গাজী। জেলা মহিলা দল সভানেত্রী মতিয়া মাহফুজ জুয়েলের সভাপতিত্বে এই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা কর্নেল অবঃ মোস্তাফিজুর রহমান ,সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মোঃ রফিক হাওলাদার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, ঝালকাঠি জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি টিপু সুলতান, নলছিটি উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম, পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হেপী বেগম ।
সভায় প্রধান অতিথি জীবা আমিনা আল গাজী বলেন, আজকের এই সভায় উপজেলা মহিলা দলসহ সবাই কষ্ট করে এখানে উপস্থিত হওয়ার সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি আরো অভিনন্দন জানাই আমার মহিলা দলের নেতা কর্মীদের। তারাও বিগত সৈ¦রাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থেকে সক্রিয় ভাবে ভূমিকা রেখেছে। এখন নির্বাচনী পরিবেশ ও সময় আসার সাথে সাথে অনেক অতিথি পাখি এলাকায় আসতে শুরু করেছে। বিগত দিনে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে না থাকায় মামলা তো দূরের কথা একটা জিডিও হয়নি তাদের বিরুদ্ধে। বরং তারা স্বৈরাচারের সাথে লিয়াজো করে ঠিকাদরী কাজসহ সুযোগ সুবিধা নিয়ে আরাম আয়েসে ছিলো। আমাদের আন্দোলন শেষ হয়নি । আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে খালেদা জিয়াকে যেদিন প্রধান মন্ত্রী করে আমাদের নেতা তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে সম্মানজনক স্থানে বসাতে পারবো সেদিন আমাদের আন্দোলন শেষ হবে। তার আগে আমাদের নেতা তারেক জিয়ার ৩১ দফা বাসত্মবায়নে আপনাদের মাঠে কাজ করতে হবে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। আজকের এই সভা সফল করায় জেলা মহিলা দলের নেত্রী মতিয়া জুয়েল সহ উপজেলা, পৌর,ওয়ার্ডের নেতা কর্মীসহ সবাইকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । সভার সভাপতি মতিয়া মাহাফুজ জুয়েল বলেন, আমরা আমাদের আসনে এমন একজন নেত্রী পেয়েছি যিনি নবাব পরিবারের সন্তান। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে উচ্চ শিক্ষিত। সাংগঠনিক ভাবে একজন সফল সংগঠক। রাজনৈতিক ভাবেও তিনি কেন্দ্রীয় পদে অধিষ্ঠিত এবং সুপরিচিত। তাই তার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তিত্বের এ আসনে বিকল্প নেই। তিনি বলেন ,২০০৯ এর ভোটার বিহীন নির্বাচনে আমুর সন্তাসী বাহিনী কর্তৃক তার গাড়ী ভাংচুর এবং হামলা করা সত্বেও আমি তাকে নিয়ে মাঠে ছিলাম। এই নলছিটির পৌর সভানেত্রী হেপী সহ অনেকের দোকান বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। আমি তাদেরকে ঢাকায় আমার বাসায় চিকিৎসা এবং আশ্রয় দিয়ে সহয়তা করেছি। জেবা আপা তখন সবার খোজ খবর নিয়ে পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। তখন আপনি কোথায় ছিলেন। এখন দলের সুদিন ফিরে আসায় অতিথি পাখি হয়ে চেহারা দেখাতে এলাকায় না এসে দূরে থাকুন।