কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) সংবাদাদাতাঃ কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গনঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জনরষের শিকার হয়ে লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। ১ জুলাই সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এদিন সকালে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতেই মাহমুদ হোসেন রিপনের ওপর ইউপি সদস্য ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি শামসুল আলমের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে পরিষদ থেকে টেনে হিঁচড়ে কচুয়া বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার সময় প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকেও মারধর করা হয়।
স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এ কারণে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে বলে স্থানীয়রা জানান। এছাড়া তিনি তার সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি
নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও হয়রানী করে এলাকা ছাড়া করায় দীর্ঘ দিনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা সৈয়দ আ: কাইউম বলেন, উত্তেজিত জনতা চেয়ারম্যানকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেংলা বলেন, ঘটনা জানার পর আমি দ্রুত ফোর্স পাঠাই। তবে ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, এই ধরনের হামলা বিএনপি কখনোই সমর্থন করে না।তবে গত ১৬ বছরে যারা অন্যায়-জুলুম, গুম-খুন করেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকাছাড়া করেছে তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। জনগণের রোষে কেউ পড়লে তার পেছনে কারণ আছে। যারা অতীতে জনবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরও এখন নিরাপদে চলাফেরা করা উচিত।