দূরযাত্রা রিপোর্ট : ঝালকাঠিতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ২৭ জন জেলেকে মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ জন জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে । বাকি ১৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া এ সময় ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭শত মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। মামলা হয়েছে ২৭ টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে ৫৪০ কেজি।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড় জানান, ২২ দিনের ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছি। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে অবৈধভাবে মাছ শিকার করার অপরাধে জেলেদের আটক ও অবৈধ জাল জব্দ করেছি। এ বছর ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে বড় সাইজের ইলিশ মাছ খুব কম দেখা গেছে। যে মাছগুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ সাইজে ছোট হলেও পেট ভর্তি ডিম ছিল।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী সহ ঝালকাঠি জেলায় ২৪ ঘন্টা আমরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে অবৈধ জাল জব্দ করি। এছাড়া অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে জেলেদের জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
জব্দকৃত মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত জাল প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, এ বছর ২৪ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করার পরেও কিছু অসাধু মৌসুমী জেলে মাছ শিকার করতে নেমেছে। আমরা তাদের অনেককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করেছি। নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু মৌসুমী জেলের মাছ শিকারের অপতৎপরতা অনেকাংশে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় সকলের উচিত মৎস্য বিভাগকে সহযোগিতা করা। অবরোধের সময় যদি আমরা মা ইলিশ শিকার না করি তাহলে নদীতে ইলিশ মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে । দেশের চাহিদা মিটিয়ে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।