দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ২০১৮ সনে ঝালকাঠি ২ আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেবা আমিনা খানের নলছিটিতে গাড়ী বহরে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। নলছিটি থানায় বরিশালের জনৈক সাইদুল হক মনির বাদী হয়ে জেবা খানকে অন্যতম স¦াক্ষী করে এই অভিযোগ দেওয়া হয়।
গত ১১ ডিসেম্বর ৯০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে থানায় এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি জেবা আমিনা খান জানান, সাইদুল হক মনির ঘনিষ্ট হওয়ায় মামলার অভিযোগ তৈরী করার বিষয়ে আমার আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে বলেছি। আইনজীবীকে অভিযোগটি তৈরী করে মনিরের মাধ্যমে আমাকে দেখানোর কথা বলা হয়ে ছিলো।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই অভিযোগে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২৪০ জনকে আসামী দিয়ে নলছিটি থানায় জমা দেয়া হয়। জেবা খান আরো জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে নলছিটি থানার ওসি আমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। তখন আমি থানায় পাঠানো অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে মামলা হিসেবে রেকর্ড না করতে বলেছি। কারন আমাকে হত্যার উদেশ্যে ২০১৮ সনে আমার গাড়ী বহরে হামলা করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। আমি চাই যারা হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে বিস্ফোরন ঘটিয়ে রক্তাত ও গাড়ী ভাংচুর করেছে তারাই আসামী হোক। তাই আমাকে অভিযোগ না দেখিয়ে এতো আসামীর এই মামলা সমর্থন করিনা। এই জন্য ওসি সাহেবকে অভিযোগটি রেকর্ড না করতে বলেছি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাইদুল হক মনির বলেন, জেবা ম্যাডামকে ওসি সাহেব সঠিক ভাবে বলতে না পারায় তিনি হয়তো ভুল বুঝেছেন। কারন ঘটনার দিন আমি তার সাথে ছিলাম। আমাদের উপর হামলাকারীদের সংখ্যা ছিল শতাধিক। তবে জেবা আপা ২/১ দিনের মধ্যেই ঝালকাঠী আসলে তাকে নিয়ে বসে এর সমাধান করবো।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি আব্দুল ছালাম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি জেবা আমিনা খানকে জানিয়েছি এখানে কিছু নিরাপরাধ লোকের নাম দেয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন,অভিযোগটি আমি দেখি নাই। তাই এটি দেখে প্রকৃত আসামীদের নাম দিয়ে সংশোধন করে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা নিতে সমস্যা নেই। জড়িতদের নাম উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ পাঠালে আমলে নেয়া হবে।