দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা ও জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। । অপর দিকে প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রীদের আহত করে অনৈতিক কর্মকান্ড, দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে বিচার দাবিতে পাল্টা মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিরা। রবিবার সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, প্রধান শিক্ষক আকছেদ আলী খন্দকার, কলেজ শিক্ষক সমিতি-বাকশিস সদস্য সচিব উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি আনিচুর রহমান পলাশ ও আহত প্রধান শিক্ষকের মেয়ে নিপু আক্তারসহ আরো অনেকে। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে
বিভিন্ন স্কুল- কলেজে এ্যাডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে আহত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধন শেষে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামালার বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।
এদিকে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের নানা অনিয়মের বিচার দাবি জানিয়ে জেলখানা সড়কের সামনে ছাত্রী ,অভিভাবক ও স্থানীয়দের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ব্যস্ত সড়টি অবরো ধকরে বসে পড়েন। জেলা প্রশাসন থেকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস পাওয়ার পর সড়ক ছেড়ে তারা চলে যান। উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুর্ব প্রস্তুতি চলাকালে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন প্রায় ১৫ জন ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার ইস্যু করে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাইফুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের একটি দল প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেয়। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির মধ্যে বসেই পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। পরে তাকে বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে একই সময় আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে সভা করে রাস্তায় বসে পড়েন ।এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় খবর পেয়ে ঝালকাঠি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন এবং উভয় দলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উভয় গ্রুপ রাস্তা থেকে সরে যান।