দূরযাত্রা রিপোর্টঃ ঝালকাঠি সদর থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের সল্পসেনা গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মৃত সফিজদ্দিন হাওলাদারের পুত্র দেলোয়ার হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ১২ মার্চ দুপুরে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম দেলোয়ার হোসেন ও আসামী সোহরাব হোসেনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। দুজনের মধ্যে আলাপকালে ভিকটিম আসামীকে জানায় তার কাছে চাকুরির রিটায়ার্ডের কিছু টাকা আছে। সেই টাকা ছেলে মেয়েদের না দিয়ে, তিনি মাছ মাংস কিনে খাবেন। আসামী সোহরাব হোসেন এ কথা শুনে লোভে পড়ে টাকা আত্মসাৎ করার জন্যে দেলোয়ার হোসেনকে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দেলোয়ার হোসেনকে তার বসত ঘরে ৮ মার্চ পূর্বাহ্নে উপর্যপুরি কোপাইয়া গলা কেটে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃতের ছেলে মাহামুদুল হাসান
বাবু ২ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের নাম উল্লেখ করে ঝালকাঠি থানায় ১০ মার্চ একটি মামলা রুজু করেন। মামলা নং-১৩, ধারা- ৩০২/৩৪
পেনাল কোড। থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসানকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োজিত করেন।
মামলার প্রধান আসমাী বরিশাল বিমান বন্দর থানায় মঙ্গলহাটা গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের গরংগা গ্রামস্থ মরহুম আকবর
মিরার বাসার কেয়ারটেকার মৃত সিরাজুল হক আকনের পুত্র মো: সোহরাব হোসেন। জনতার সহযোগিতায় ঘটনার দিনই পুলিশ তার বাড়িতে থেকে
গ্রেফতার করে। ১১মার্চ আসামীর দেখানোমতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ধারাল দা সহ মৃত্যের ব্যবহৃত মোবাইল ও আসামীর
পড়নে থাকা রক্তমাখা প্যান্ট ও গেঞ্জি, উদ্ধার করে পুলিশ। আসামী আদালতে সে নিজে একাই এই হত্যাকান্ড সংঘটনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
#