দূরযাত্রা রিপোর্টঃ পূর্ব চাঁদকাঠি বাজারের খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে চাঁদকাঠি মাছ বাজার সিন্ডিকেটের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে পৌর প্রশাসকের শক্ত ও প্রশংসনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারন জনগন। বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ সকালে শহরের পূর্ব চাদকাঠি বাজারের খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে সিন্ডিকটের তোপের মুখে পড়েন পৌর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অলোক সমাদ্দার । এ সময় পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব চাদকাঠি বাজারে ব্যবসায়ীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসে। তাকে বলে আপনারা বাজার ইজারা দিয়েছেন টাকা নিয়ে। এখন কেন উচ্ছেদ করতে এলেন। আমরা বাজার ইজারা নিয়েছি ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিক অথবা আমাদের বাজারে স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে।
উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে ছুটে আসেন পৌর প্রশাসক মোঃ কাওসার হোসেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৌরসভার খালের ভিতর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে আমরা ইজারা বন্ধ করে দেব। পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ইজারা দিবে না। তবুও খালে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পৌর প্রশাসক আরো বলেন বিএস নকশা অনুযায়ী ঝালকাঠির সকল খাল উচ্ছেদ করা হবে। বাজারের পাশে সাবেক কাউন্সিলর হাফিজের খালের উপরে দুটি দোকানও পৌর কর্তৃপক্ষ ভেঙে চুরমার করে দেয়। এখানে সাধারন মানুষ মাছ কিনতে এলে ডাকের সময় সিন্ডিকেটের সদস্যরা ক্রেতা সেজে মাছের দাম বাড়িয়ে বলে। এতে একদিকে সাধারন ক্রেতারা কম দামে মাছ কিনতে পারছেনা অন্যদিকে অল্প দামের মাছ বেশি দাম হয়ে যায়।
সাধারণ মানুষ পৌর প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং তারা বলেন খুব দ্রুত ঝালকাঠির সকল খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে পৌরবাসি সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে।