দূরযাত্রা রিপোর্টঃ বিএনপির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা বাড়ি দখলের কল্পকাহিনী সাজিয়ে মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশে আমি আমার গুলশানের বাড়িতে বৈধ ভাবে থাকা সত্বেও প্রতিপক্ষ কিছু কুচক্রী মহলের যোগশাজসে এ কাজ করেছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা
জানিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানাতে উচ্চ আদালতে প্রেস ব্রিফিং করেছি। আমার আইজীবীর পরামর্শে এ ব্রিফিং এর মাধ্যমে সত্য ঘটনা তুলে ধরায় ষড়যন্ত্রকারিদের মুখোশ উম্মোচন হয়েছে। গত ৮ জুলাই হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এক প্রেস ব্রিফিংএ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি জীবা আমিনা আল গাজী একথা কলেন।
ব্রিফিংএ তার আইনজীবী সৈয়দ রাজি নাফিসসহ অপর আইনজীবীরা জানান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিবা আমিনা খান তাহার প্রাক্তন স্বামীর সাথে ২০০৫ সাল থেকে যৌথ মালিকানায় ব্যবসা করেন। ৪ টি ডেভেলপার কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করে এ ব্যবসা করছিলেন। ২০১৫ সালে তাহাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হলে তাহার প্রাক্তন
স্বামী তাহাদের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত ডেভেলপার কোম্পানী আর্ডেন্ট ক্যাপিটা লিমিটেড এর ৫০% শেয়ার অস্বীকার করে। তৎকালিন আওয়ামী সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাকে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারন করে কোম্পানী গুলো নিজের দখলে নেন। এর প্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে জিবা আমিনা খান মামলা দায়ের করেন। বিগত ১০ বছর উক্ত কোম্পানী মামলা সমূহ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। তা সত্বেও ২০১৫ সন থেকে তিনি এ ভবনেই বসবাস করে আসছেন। পরবর্তীতে ১ টি মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালে জিবা আমিনা খানকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ এবং সংশ্লিষ্ট শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষনা করেন। উক্ত কোম্পানী মামলা সমূহে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আডেন্ট ক্যাপিটার মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স এ্যাপার্টমেন্ট এর মধ্যে ৪০১ এবং ৫০১ এ্যাপার্টমেন্ট এ জিবা অমিনা খান বসবাস করছেন। পরবর্তীতে জিবা
আমিনা খানের প্রাক্তন স্বামী মোকাররম হোসেন খান মহামান্য হাইকোর্টের স্ট্যাটাসকো আদেশ অমান্য করে তৎকালীন সরকারের একজন মন্ত্রী ও জিবা আমিনা খানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সহযোগিতা নেন। এরপর তিনি জিবা আমিনা খানের ১টি ডুপ্লেক্স এ্যাপার্টমেন্ট এর নিচের অংশ জোরপূর্বক দখল করেন। জেবা আমিনা খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং ঝালকাঠি-২ আসন এ সংসদ সদস্য প্রার্থী। তৎকালিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় জীবা আমিনার এ রাজিৈতক পরিচয়
তার প্রাক্তন স্বামী বিভিন্ন সরকারী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থাপন করায় তিনি কোথাও কোন প্রতিকার পাননি। বাধ্য হয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ১টি ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্ট এর উপরের অংশে তার একমাত্র কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। উক্ত ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টের নিচের অংশ তার প্রাক্তন স্বামী জোরপূর্বক দখল করেন।
সম্প্রতি ২৭ শে জুন প্রাক্তন স্বামীর নির্দেশে কতিপয় বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ভবনের সিকিউরিটি গার্ড জিবা আমিনা খানের বসবাসকৃত অ্যাপার্টমেন্টে আগত অতিথিদের ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে এবং উক্ত এ্যাপার্টমেন্ট দখলের অপচেষ্টা চালায়। এই প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করার জন্য জিবা আমিনা খান গুলশান থানাকে অবহিত
করেন। এতে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে এবং আগত অতিথিদের উপস্থিতিতে জিবা আমিনা খানের প্রাক্তন স্বামীর সম্পূর্ণ অবৈধ জবর দখল প্রক্রিয়া ভন্ডুল হয়। উক্ত ঘটনার পর জিবা আমিনা খানের প্রাক্তন স্বামী মোকাররম হোসেন খান এবং একটি রাজনৈতিক স্বার্থন্বেষী মহল উক্ত অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিবা আমিনা খানের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়। এমনকি বিভিন্ন আনলাইন মিডিয়ায় সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন একটি ভিডিওর আংশিক প্রচারের ব্যবস্থা করে। বিগত ১০ বছরে কোম্পানীর মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতাকে ভিন্ন খাতে প্রচার করে একটি মহল জিবা আমিনা খানের রাজনৈতিক পরিচয় এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জিবা আমিনা খান উক্ত অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছেন। অন্যথায় তিনি তার নিজের এবং দলের ইমেজ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে বাধ্য হবেন।