দূরযাত্রা রিপোর্ট ঃ ঝালকাঠির শেখের হাট ইউনিয়নের শিরযুগ গ্রামের গৃহবধু হোসনেআরা বেগম নূরী (৬২) হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। পুত্র মিলন খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলার তদন্ত করছে। গত ১৯ অক্টোবর সিঁদ কেটে ঘরে উঠে কুপিয়ে হত্যা করা হয় গৃহবধু হোসনেআরাকে। এ ঘটনায় পুত্র মিলন অজ্ঞাত আসামী দিয়ে এ মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানাযায় আরো এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মা এ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। তিনি খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে গত ২০ অক্টোবর রাতে বাড়িতে এসে মায়ের মৃতদেহ দেখতে পান। তার ধারনা মাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সিঁদ কেটে ঘরে উঠে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত ১৯ অক্টোবর স্বাক্ষি দুলাল শেখ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হোসনেআরা বেগম কে ডাকাডাকি করলে তিনি কোন সাড়া দেয়নি। তখন ঘরের পশ্চিম পাশে সিঁদ কাটা দেখে সন্দেহ হলে দুলাল শেখ প্রতিবেশিদের নিয়ে ঘরে উঠেন। ঘরের মালামাল এলোমেলো এবং রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের উপর হোসনেআরা বেগমের মৃত দেহ পরে থাকতে দেখে তারা। কপালে এবং মাথার একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখম দেখা যায়।
বাদী মিলন খান তার মায়ের হত্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন ক্লু জানতে না পারলেও বলেন, আশা করি পুলিশের তদন্তে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তার মা জীবিত থাকা কালে এলাকার এক জুয়ারী তাদের বাড়ির বাগানে জুয়ার আসর বসাতে চেয়েছিল। বিনিময়ে অর্থের প্রলোভন দেখায়। এ কথা মিলন খানকে তার মা জানিয়ে ছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে রাজী হয়নি। তাই বাদী মিলন ও তার পরিবারের সন্দেহ এ হত্যার সাথে ঐ গ্রুপের কোন সংস্লিষ্টতা থাকতে পারে। তিনি বলেন পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে বাদী জানেিয়ছে ইতিমধ্যেই কাউখালী উপজেলার মো. সবুজ নামে একজনকে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। সবুজ শেখেরহাট ইউনিয়নের শিরযুগ গ্রামে ঘর জামাই থাকত। সে এলাকার জুয়া সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এছাড়াও এলাকায় তার নামে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকে পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সে জেল হাজতে আছে। সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সংশ্লিতা পাওয়া গেলেও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে কিছু বলেনি। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের জানান, মামলার তদন্ত এগিয়ে চলছে। তথ্য প্রযুক্তির প্রমানের ভিত্তিতে সবুজকে এ মামলায় ধরে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সবুর নামে আরো একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আশা করি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সঠিক ভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সে ভাবেই তদন্ত অব্যাহত আছে।